ঋতুপর্ণা পিতৃালয়ে, পরিত্রাণের কর্মকর্তার দাবী অপহরণের ঘটনা মিথ্যা

গৃহবধূ ঋতুপর্ণা দাসের অপহরণের ঘটনা মিথ্যা দাবী করে পরিত্রাণের প্রোগ্রাম অফিসার উজ্জ্বল কুমার দাস বুধবার বিকালে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিত্রাণের প্রোগ্রাম অফিসার উজ্জ্বল কুমার দাস লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, কেশবপুর উপজেলার বড়েঙ্গা দাস পাড়ার ভদ্র দাসের কন্যা ঋতুপর্ণা দাস ৫ই আগষ্ট কলেজের আসার পথে নিখোঁজ হয় এবং ৬ ই আগষ্ট ভদ্র দাস নিজে বাদী হয়ে তার মেয়েকে খুঁজে পাওয়ার জন্য কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং- ১৮৮। যেহেতু ঋতুপর্না নিখোঁজ এই মর্মে কেশবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী হয়েছে, ঋতুপর্ণার পিতা ভদ্র দাস আমার আত্নীয় ও এই কম্যুনিটির সন্তান হিসেবে আমার সামাজিক দায়বদ্ধতার কারনে আমি তাদের আইনের সাহায্যে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করি।

এক পর্যায়ে জানা যায়, লিটন সরকার ঋতুপর্ণা দাস-কে তার পরিবারের অমতে ফুসলিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছে এবং কৌশলে লিটন সরকার ও তার বোন ঋতুপর্ণার কাছে থেকে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টির অগোচরে থেকে লিটন সুকৌশলে ঋতুপর্নাকে পাটকেল ঘাটা থানার পুটিখালী দাস পাড়ায় তার বোন লতিকা দাসের বাড়িতে আছে আবদ্ধ করে রেখেছে জানতে পেরে ০৯ আগস্ট সকাল ১০.০০ টার সময়ে ভদ্র দাস, তার মেয়েকে তারা (পিতা-ভদ্র দাস, ভাই উজ্জ্বল দাস, বৌদি) উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। আমি উভয় পক্ষকে সমঝোতার জন্য অনুরোধ করি। এক পর্যায় ভদ্র দাস তার মেয়ের সন্ধান পেয়ে এ ব্যাপারে পাটকেল ঘাটা থানার এসআই সৃব্রত মহোদয় আমার কাছে জানতে চাইলে আমি ঘটনার সত্যতা জানায় এবং কেশবপুর থানা থেকে ঋতুপর্ণার পিতাকে পারস্পারিক সমঝোতার পরামর্শ প্রদান করি।

লিটন সরকারের পরিবারও আমার আত্নীয় হওয়ায় তাদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করে ব্যাপারটি তাদের পারিবারিকভাবে সমাধানের জন্য পরামর্শ প্রদান করি। লিটন সরকার উজ্জ্বল দাস কর্তৃক অপহরণ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ করে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির জন্ম দিয়েছে। এখানে আমি উজ্জ্বল দাস ঘটনার দিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম না, উপস্থিত ছিল ঋতুপর্ণা দাসের সহোদর উজ্জ্বল দাস। এখানে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত এক শ্রেনীর মানুষ যারা নারীর মানবাধিকার স্বিকার করে না, নারীকে অবদমিত রাখতে চাই, নারীর মর্যাদা নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চাই তারা আমার বিরুদ্ধে মনগড়া, মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যাচার করছে যা খুবই ন্যাক্কার জনক এবং গণমাধ্যমের প্রতি জনআস্থার সীমাবদ্ধতা তৈরি করে।

আমি যখন দুই পরিবারের মধ্যে তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে মধ্যস্থতায় ব্যর্থ হয়েছি তখন লিটন সরকার আমার প্রতি অযথা ক্ষিপ্ত হয়ে সাতক্ষীরা জেলার বিজ্ঞ আদালতে পারিবারিক সম্পর্ক পুন উদ্ধারের জন্য আমাকে জড়িয়ে ১০০ ধারায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন, পাটকেল ঘাটা থানায় একটি জিডিও করেছেন। আর এতে প্রমানিত হয় ঋতুপর্না অপহরণ হয়নি বা তাকে কেউ অপহরন করেনি, সে তার পিতৃলয়ে আছে।

০৩ সেপ্টেম্বর হতে ঋতুপর্না দাসকে কেন্দ্র করে মিথ্যা অপহরনের বিষয়টি নিয়ে আমার নাম, আমার ফেসবুকের ছবি,আমার প্রতিষ্ঠানের লগো ব্যবহার করে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে মিথ্যাচার করছে সেটা উদ্দ্শ্যে প্রণোদিত, অনভিপ্রেত, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করবার হীন উদ্দ্শ্যের একটি অপকৌশল মাত্র।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার নাম, তার ফেসবুকের ছবি এবং সংগঠনের লগো ব্যাবহার করে ঋতুপর্ণা দাসের অপহরনের অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করেন। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। তাকে জড়িয়ে সে সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং যে মিথ্যা ডায়েরী করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে মদদদাতা সকল স্বার্থান্বেষীদের-কে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। তিনি সঠিক এবং নায়বিচার পেতে সরকারের আইনপ্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রতি অনুরোধ জানান।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২১:৫৭:১৩ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআরএস/এনআফটি