মেয়র লিটনের সাথে আরএমপি‘র বিদায়ী পুলিশ কমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বিদায়ী পুলিশ কমিশনার মোঃ হুমায়ুন কবির, বিপিএম, পিপিএম। সোমবার দুপুরে নগর ভবনে সাক্ষাৎকালে মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তিনি।

এ সময় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশকে সহযোগিতা করায় রাসিক মেয়রের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বিদায়ী পুলিশ কমিশনার। রাসিক মেয়র তাঁর কর্মজীবনের উত্তরোত্তর সফলতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে আরএমপি‘র উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) মোঃ সাজিদ হোসেন, মাননীয় মেয়রের একান্ত সচিব মো. আলমগীর কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্ষমা করে দিলেন মুক্তিযোদ্ধার ইসাহাক আলী। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী সার্কিট হাউসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বসেন জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। সেখানে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমান, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলীর উপস্থিতিতে অভিযুক্ত ইন্টার্ন চিকিৎসক শোভন সাহা ও আব্দুর রহিম মুক্তিযোদ্ধার কাছে ক্ষমা চান।

এরপর মুক্তিযোদ্ধারা নগরীর রেলগেট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে পূর্বঘোষিত সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে রাজশাহী মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করে দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ক্ষমা চেয়েছেন। মামলার বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা বলেছি মামলা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করতে পারব না। তখন প্রশাসন বলেছে, মামলা তারা দেখবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধকালীন গেরিলা কমান্ডার শফিকুর রহমান রাজা, কবিকুঞ্জের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মুস্তাফিজুর রহমান খান আলম, রবিউল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধা ইসাহাক আলীর স্ত্রী পারুল বেগমকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর বিনাচিকিৎসায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের ডাকলেও কেউ আসেনি। এ সময় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে চিকিৎসকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগে মুক্তিযোদ্ধার ছেলে রাকিবুল ইসলামকে আটক করে পিটিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে হাসপাতালের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। বিকেলে আদালত থেকে জামিন নিয়ে রাকিবুল মায়ের দাফনের কাজে অংশ নেন।

হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক আলীকেও মারধর করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই কমিটি প্রত্যখান করে গত শনিবার রাজশাহীর মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেন। পরে ইসাহাক আলী দুই ইন্টার্নসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। গত রোববার ইন্টার্ন চিকিৎসকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে সামাজিক সংগঠন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। এ দিন মুক্তিযোদ্ধারাও জেলা প্রশাসককে একটি স্মারকলিপি দেন।

০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ২০:৫০:৫৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআরআর/এনআফটি