বিরাশি কুলিক নদীতে ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায়; জনদুর্ভোগ চরমে

ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলার বিরাশি-রাউতনগর কুলিক নদীতে দুই যুগেও ব্রীজ নির্মাণ হয়নি। এতে দু’ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার লোক যাতায়াতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বর্ষা মৌসুমে। যুগের পর যুগ ব্রীজ নির্মাণের আশার প্রহর গুনছে এলাকাবাসী।

৪সেপ্টেম্বর শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র দেখা গেছে। উপজেলার লেহেম্বা ও হোসেনগাঁও দুই ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষে বয়ে গেছে কুলিক নামে একটি নদী। এলাকাবাসীর তথ্যমতে ঐ দুই ইউনিয়নের সেঁতু বন্ধন হিসেবে ১৯৮৬-৮৭ খ্রিঃ প্রায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে দুই ইউনিয়নের এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের আশা পুরণ হলেও ১৯৮৭ সালের ভয়াবহ বন্যার তীব্র স্রোতে ব্রীজটির দু-পাশের দু- অংশ দুমড়ে মুচড়ে ভেঙ্গে নিয়ে যায়। মধ্যখানে পড়ে থাকে অবশিষ্ট প্রায় ৩০-৪০ মিটার ব্রীজের অশিষ্ট অংশ এবং বিছিন্ন হয়ে পড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

তখন থেকেই জনবহুল ঐ দুই ইউনিয়নের মানুষ অদ্যাবধি এ চরম দুর্ভোগের মোকাবেলা করতে করতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশও হয়েছে। এলাকাবাসীরা বলেন, অনেক নেতা ভোটের আগে এসে ব্রীজ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও নির্বাচন পরবর্তী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করতে পারেনি । বিকল্প হিসাবে স্থানীয় কিছুসংখ্যক মানুষের প্রচেষ্টায় কাঠ ও বাঁশের সাঁকো তৈরী করে ঠেকা সাড়তে হচ্ছে তাদের এবং পারাপারে পথচারীদের দিতে হয় টাকা।

নদীর দুপাশের দুই ইউনিয়ের বাজারে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২টি বড় মসজিদ রয়েছে। প্রতিদিন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-কর্মচারী ও মুসল্লিদের টাকা গুনে এই সাঁকো দিয়ে বাধ্য হয়ে যাতায়াত করতে হয়। অনেক গরীব শিক্ষার্থীর অভিভাবকেরা সাঁকো পারাপারের টাকা না দিতে পাড়ায় স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তাদের ছেলে মেয়েদের এমন অভিযোগ এনে রাউতনগর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এ বিষয়ে নজর দিলেই ব্রীজটি নির্মাণ হবে। হোসেনগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুব আলম জানান, এ ব্রীজটি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করছি। আশা করি হয়ে যাবে।

রাণীশংকৈর উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম বলেন, এ ব্রীজটির বিষয়ে বিভাগীয় উন্নয়ণ প্রকল্পে ধরে দেওয়া আছে। যেহেতু ১০০ মিটারেরও অধিক দৈর্ঘ্য তাই সেখানে টিম এসে মাপযোগ করে নিয়ে গেছে। তবে কখন হবে আমি তা বলতে পারবোনা। এ ব্যপারে ঠাকুরগাঁও -৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান বলেন, আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। কিছুদিন আগে ঐ অধিদপ্তরের লোকজন এসে মাপযোগ করে নিয়ে গেছে।

০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ১৭:২৩:৪৮ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এইচকে/এনএফটি