কেশবপুরে সরকারী ইজারা চুক্তির পূর্বেই সাবলিজ প্রদানের অভিযোগ

যশোরের কেশবপুর উপজেলার ডহুরী নদী ও গোধার খালের ২৩.০৫ একর সরকারী জলমহল ইজারা চুক্তির পূর্বেই সাবলিজ প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার ডহুরী নদী ও গোধার খালের ২৩.০৫ একর সরকারী জলমহল রয়েছে। উক্ত জলমহল ডিসি অফিসের মাধ্যমে ৩ বছর মেয়াদে ইজারা প্রদান করার জন্য গত মাসের ২ তারিখে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়।

ইজারা গ্রহণের জন্য আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও কাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি আবেদন করেন এবং আবেদনপত্র উন্মুক্ত করার পর দেখা যায় আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ইজারা মূল্য বেশি প্রদান করেছেন।

তবে জলমহলের নিকটবর্তী সমবায় সমিতিকে ইজারা দেওয়ার আইন রয়েছে। এদিকে জেলা প্রশাসক কর্তৃক দলিল চুক্তিপত্র বুঝে না দেওয়ার পূর্বেই আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কাঁকবাধাল গ্রামের মৃত হাশেম আলী গাজীর পূত্র সিরাজুল ইসলাম গাজীকে সাব-লিজ প্রদান করে।

জলমহলের নিয়মানুযায়ী সাব-লিজ প্রদানের কোন সূযোগ নাই। বে-আইনীভাবে সাবলিজ গ্রহীতা সিরাজুল ইসলাম গাজী গত মাসের ১০, ১৭, ২০ ও ২১ তারিখে উক্ত জলমহলে মাছ ছেড়েছেন এবং মাছ ছাড়া অব্যাহত রেখেছেন।

এব্যাপারে জেলা প্রশাসক কর্তৃক ইজারা চুক্তি সম্পাদনের পূর্বেই আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি সিরাজুল ইসলাম গাজীকে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে সাব-লিজ প্রদান করে মাছ ছাড়ায় জলমহলের আইন ভঙ্গকরায় কাাঁকবাধাল ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির পক্ষে সুজন কান্তি মন্ডল যশোর জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অপরদিকে আড়য়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি জলমহলের শর্তভঙ্গ করায় নিয়মানুযায়ী জলমহলের নিকটবর্তী ডহুরী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতিকে ইজারা প্রদানের দাবী জানিয়েছেন মৎস্যজীবি-সহ এলাকাবাসি।