বাঁকড়ায় ঈদের কেনাকাটায় উপচেপড়া ভীড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দুরত্ব

যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া এলাকার মানুষ সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানা হচ্ছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব। প্রশাসন বারবার চেষ্টা করেও ভিড় কমাতে ব্যর্থ হচ্ছে।

১৮ মে যশোর জেলা প্রশাসক প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতর সামনে রেখে দোকান-পাট, শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ প্রতিপালন সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু বিগত কয়েকদিন বাজার, শপিংমল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগত কোন ক্রেতা বিক্রেতা সরকারী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করছে না। যে কারণে সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মৃত্যুর ঝুকির কথা বিবেচনা করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সকল ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শপিংমল ও সকল প্রকার গণপরিবহন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

তবে জরুরী পরিষেবা, চিকিৎসা সেবা, গণমাধ্যম, কৃষিপণ্য, কৃষি যন্ত্রপাতি, খাদ্যদ্রব্য সরবরাহ ও সংগ্রহ, বিদ্যুৎ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, ব্যাংকিং, ঔষধ শিল্প সংশ্লিষ্ট যানবাহন ও কর্মী, ল-্রীসেবা ইত্যাদি এবং সরকার কর্তৃক সময়ে সময়ে ঘোষিত অন্যান্য জরুরী পরিষেবা এর আত্ততা বর্হিভূত থাকবে। কাঁচা বাজার ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান বিকাল ৪ টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ১৯ মে সকাল ৬টা থেকে এ আইন কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ আইন বলবৎ থাকবে।

মঙ্গলবার সকালে এ আইন মানার জন্য ঝিকরগাছা উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করেছে। কিন্তু এই আইন মানার বিন্দু পরিমান প্রভাব বাঁকড়া এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে পড়েনি। মঙ্গলবার সকাল ৯ টার সময় বাঁকড়া বাজারে যেয়ে দেখা যায়, নারী পুরুষের মিলনমেলা। তবে নারী ক্রেতার সংখ্যা বেশী। ক্রেতা-বিক্রেতা একাকার হয়ে কেনা-বেচা করছে। সকলেই ঈদের বাজার করতে মহাব্যস্ত। তাদের ভেতরে নেই কোন সামাজিক দুরত্ব।

আরো পড়ুন :
চৌগাছায় ইটভাটার ট্রাকের চাপায় নিহত ১, আহত ১
পাইকগাছা পৌর মেয়র দু’মাসের সম্মানি ভাতা দান করলেন কর্মহীনদের মাঝে
চৌগাছায় ছাত্রদলের উদ্যোগে পথচারী রোজাদারদের মাঝে ইফতার বিতরণ

মানছে না কোন স্বাস্থ্যবিধি। সারা বিশ্বে করোনা নামক এক ভাইরাস মহামারী সৃষ্টি করেছে, যার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে- এমন কোন চিন্তা চেতনা কারও ভেতরে নেই। সবার চলাফেরা দেখে মনে হচ্ছে বাংলাদেশে করোনার কোন প্রভাব পড়েনি বা সরকার কোন বিধি নিষেধ দেয়নি। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটা দোকানে ক্রেতার ব্যাপক চাপ। ভিড় সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে দোকানদারগণ। বাঁকড়া পুলিশ বাজারে এসে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও তারা চলে যাওয়ার সাথে সাথে দোকান খুলতে দেখা গেছে। সাড়ে ১১ টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিট্রেট সহ আর্মি আসলে সকলেই পালাতে থাকে এবং দোকানদাররা তাড়াহুড়া করে দোকান বন্ধ করে দেয়। পরে আবারও তারা দোকান খোলে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী মজুমদার জানান, আইন মানার জন্য মাইকিং করা হয়েছে। বাজার কমিটিকে আইন মানার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কয়েকটা বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এবং আর্মি টহল দিয়েছে।

মে ১৯, ২০২০ at ১৯:৫৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমএ/এএডি