মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করতে পারে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড় আম্ফান

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হয়েছে ‘অতি প্রবল’ ঘূর্ণিঝড়ে, ধেয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে।

ভারতের আবহাওয়া অফিস বলছে, এ ঝড় আরও শক্তিশালী হয়ে সুপার সাইক্লোনে পরিণত হতে পারে, তখন এর বাতাসের গতি ঘণ্টায় ২৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। তবে উপকূলে পৌঁছনোর আগে সামান্য কমে আসতে পারে এর শক্তি।

আরো পড়ুন :
সিরাজগঞ্জে ৬১ বস্তা জিআর চাল উদ্ধার
পদক্ষেপ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যেগে মেহেরপুরে দরিদ্রদের মাঝে উপহার সামগ্রি বিতরণ

বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে আম্পান পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।

অবশ্য বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদদের ধারণা, মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় আম্পান।

ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে এগিয়ে এসে সোমবার সকাল ৬টায় ‘আম্পান’ অবস্থান করছিল পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর এলাকায়।

সে সময় এ ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে; মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ওই সময় ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, অতি প্রবল এ ঘূর্ণিঝড় আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং পরে দিক পরিবর্তন করে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার শেষরাত থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে স্বল্প সময়ের নোটিসে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে।

জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ের সর্বশেষ গতি-প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করে আমরা পরবর্তী বুলেটিন দেব। সংকেত বাড়ানো হতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিপদ সংকেত দেওয়া হতে পারে।”

মে ১৮, ২০২০ at ১১:৪৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিডিএন/এএডি