করোনা : রাজশাহী বিভাগে আক্রান্ত বেড়ে ২২৩

রাজশাহীতে গত মার্চ মাস থেকেই হোম কোয়ারেন্টাইনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিদেশ ফেরত সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার উপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া হয়। দেশের অন্য জেলার মতো তখন থেকে এ পর্যন্ত রাজশাহীতে এক হাজারের বেশি প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

এছাড়াও যারা এই সকল ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরকেও ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়। এ পর্যন্ত জেলায় কোরেন্টাইনে ছিলেন ১ হাজার ৭৩৩ জন। তবে এর মধ্যে ১৪ দিন পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ১৭০২ জনকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলার সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক।

আরো পড়ুন :
পূর্ব শত্রুতার জেরে বসতবাড়িতে হামলা : থানায় মামলা
চৌগাছায় এক স্কুল ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ
চৌগাছায় পিতার উপর অভিমান করে মেয়ের আত্মহত্যা

তিনি জানান, যারা ছাড়পত্র পেয়েছেন তাদের মধ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় আছেন ৭০২ জন। এর বাইরে বাঘা উপজেলার ১৬৭ জন, চারঘাটে ১১৫ জন, পুঠিয়ায় ১৫১ জন, দুর্গাপুরে ৯২ জন, বাগমারায় ৯৬ জন, মোহনপুরে ৯১ জন, তানোরে ১৮৩ জন, পবায় ৪১ জন এবং গোদাগাড়ীতে ৬০ জন। জেলায় প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ে ১২ এপ্রিল। এর পর জেলায় ১৭ জন শনাক্ত হন। মারা যান একজন।

তবে তুলনামুলকভাবে জেলায় এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা ব্যক্তির সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। এখন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৩১ জন। এদের মধ্যে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২৬ এবং তানোরে ৫ জন।

সিভিল সার্জন বলেন, এ পর্যন্ত রাজশাহীতে মোট ১ হাজার ৭৩৩ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তবে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১ হাজার ৭০২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় আরো ৩ জন এসেছেন। তাদেরকেও হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

এদিকে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার পর রাজশাহী বিভাগের চার জেলায় ১৬ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন আক্রান্তের মধ্যে ৮জন নওগাঁর ও ৫জন জয়পুরহাটের, বগুড়ার ২জন ও পাবনার ১জন।

এ নিয়ে বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩ জনে। একই সময় সুস্থ্য হয়েছেন একজন। ফলে এ নিয়ে এ বিভাগের সুস্থ্য হওয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ জনে।
নওগাঁয় একদিনে ৮জন বেড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ জনে। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জয়পুরহাটে ৫জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮। আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বগুড়া।

এ জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৯ জন। এছাড়াও রাজশাহীতে ১৭, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১৫, নাটোরে ১২ জন, পাবনায় ১৬ জন এবং সিরাজগঞ্জে ৬ জনের করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে এখন প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সর্তক থাকতে হবে। বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে বের হওয়ার সময় অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বার বার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। আর করোনার কোনো উপসর্গ থাকলে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে।

মে ১১, ২০২০ at ১৯:১০:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এমআর/এএডি