চৌগাছা থানার ওসির চেষ্টায় সাঁকো পারাপারে চাঁদা আদায় বন্ধ

যশোরের চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিবের একান্ত চেষ্ঠায় নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা টু নিয়ামতপুর তালপট্রি খালের উপর দশ বছরের একটি বাঁশের সাঁকো পারাপারে চাঁদা আদায় করা বন্ধ হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ সাঁকোটির এক পান্তে হাজরাখানা গ্রামের বেশ কয়েকজন মিলে একটি কুঁড়ে ঘর বসিয়ে সাঁকোটি পারাপার হতে জন প্রতি ১০ টাকা আদায় করেন।

চলাচলের সুবিধার কথা মাথায় রেখে প্রতিদিনই বহু লোক এই সাঁকোটি ব্যবহার করেন।সাধারণ মানুষ এতে অখুশি হলেও সাহস পায়না কিছু বলতে। কারণ গ্রামের বেশ কয়েকজন নাকি এই সাঁকোটি জেলা পরিষদের কাছ থেকে লিজ নিয়ে এসেছে।কিন্তু মানুষ জন পারাপার করার জন্য কোন রশিদ তারা সাধারণ মানুষ কে দেয়না।

চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি ওই ইউনিয়নের দ্বায়িত্বে থাকা এসআই গিয়াসকে সাঁকো থেকে টাকা আদায়ের বিষয়ে তদন্ত করতে পাঠায়।সরেজমিন তদন্ত করে এসআই গিয়াস টাকা নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।একই সাথে সাঁকোটি জেলা পরিষদ থেকে তারা ডেকে এনেছেন বলেন কিন্তু বৈধ কোন কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেন নি।এ সময় বৈধ কাগজপত্র না দেখানো পর্যন্ত সাঁকোটির থেকে যেন কোন প্রকার টাকা না নেওয়া হয় সেটা বলে আসা হয়।কিন্তু কয়েকদিন পার না হতেই তারা আবার নতুন করে সাঁকোটি পারাপারে টাকা আদায় করা শুরু করে।

তিনি আরো বলেন, বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি ওই সাঁকোটি দিয়ে মানুষ পারাপারে টাকা আদায় করা হচ্ছে।আমি নিজেই ঘটনাস্থালে গিয়ে দেখতে পারি হাজরাখানা প্রান্তে একই গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে আব্দুর রশিদ একটি কুঁড়ে ঘরে বসে জন প্রতি ১০ টাকা আদায় করছে।তাকে টাকা আদায় করতে নিষেধ করলে সে বলেন এই সাঁকোটি তিনি ডেকে এনেছেন কিন্তু কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।এ সময় ওসি আরো বলেন মানুষ পারাপারের জন্য একটি সাঁকো সরকারি ইজারা হয় আমার বিশ্বাস হয়না।