বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ

রাজশাহীর মোহনপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে (২০) ধর্ষণ করেছে নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০) নামের এক যুবক। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে ওই ছাত্রী মোহনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ধর্ষিতা ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার কালিগ্রাম খাজুরা গ্রামে। সে বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী।

মামলার আসামীরা হলেন, মোহনপুর উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের কালিগ্রাম খাজুরা মধ্যপাড়া গ্রামের নহির উদ্দিন ছেলে নৈমুদ্দিন ওরফে নয়ন (২০), ইউনুস আলীর স্ত্রী ফাজেলা বেগম(৩৮) ও মৃত খিন্টু মন্ডল ছেলে নহির উদ্দিন(৫০)সহ তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক নৈমুদ্দিন নয়ন কলেজে আসা-যাওয়ার পথে ও মোবাইল ফোনে প্রায়ই ওই ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন ও উত্ত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ছাত্রীটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ওই ছাত্রী নৈমুদ্দিন নয়নকে বিয়ের জন্য তাগিদ দিলে বিয়ে না করে বিভিন্ন অজুহাতে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

গত (২১ এপ্রিল) সকাল সকাল ১০টায় ছাত্রীর বাবা ও মা বাড়ীতে না থাকায় সুযোগে ছাত্রীর বাড়ীতে আসে নৈমুদ্দিন নয়ন। এ সময় বিয়ের প্রলোভনে ফুসলাইয়া ধর্ষণ করে ছাত্রিকে। নৈমুদ্দিন নয়নকে বাড়ী হইতে বাহির হওয়া দেখতে পেয়ে চাচা হালিম জিজ্ঞাসা করলে ওই ছাত্রী বিস্তারিত খুলে বলে।

পরে গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় বিয়ের জন্য নৈমুদ্দিন নয়ন তাদের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় , সে অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করেছে।

কোন উপায় না দেখে ধর্ষিতা ছাত্রী মোহনপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। গত বুধবার রাতে মোহনপুর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের (ওসিসি) ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে ভর্তি করেন।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য প্রধান আসামি নয়নের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ রয়েছে। নয়নের মা পারেছা বেগম বলেন, তাঁর ছেলে নৈমুদ্দিন নয়ন কোথায় আছেন, তা তিনি জানেন না।

এদিকে ছাত্রীর চাচা মুছাদ আলী জানান ওই লম্পট নৈমুদ্দিন নয়ন একাধিক মেয়েকে মিথ্যা প্রেমের জালে জড়িয়ে তাদের জীবন নষ্ট করেছে।
মোহনপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ জানান, নয়ন বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করেছে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামী গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রেখেছে পুলিশ ।