করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ খাদ্য সঙ্কটে যাতে কেউ না পরে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শনিবার বিকেল ৫টায় শুরু হওয়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী সংসদ অধিবেশন এ কথা বলেন তিনি। এসময় যারা ত্রাণের জন্য সকলের সামনে আসতে না পারে তাদের জন্য ৩৩৩ এ কল দিলে খাবার পৌছে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিনের সভাপতিত্বে অধিবেশণে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বের মানুষকে যেভাবে বন্দী করে ফেলল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। আমার কাছে দেশের মানুষের কল্যাণটাই সব থেকে বড়। সে কারণে উৎসবটা সেভাবে করিনি।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদ সদস্যদের অধিবেশন কক্ষে বসার সময় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে করোনাভাইরাসের কারণে জাতীয় সংসদের এই অধিবেশনে সাংবাদিকদের সশরীরে উপস্থিত না হয়ে সংসদ টেলিভিশন থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত অধিবেশন কভার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এখন ঢাকায় আছেন এবং বয়সে তরুণ এমন এমপিদেরই শুধু সংসদে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। আর সংসদে প্রবেশের সময় এমপিদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়।
এর আগে জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশন শেষ হয়েছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি। এক অধিবেশন শেষ হওয়ার পর ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে আবার অধিবেশনে বসার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে অধিবেশন বসার বাধ্যবাধকতা আাছে। তাই করোনভাইরাসের এই মহাদুর্যোগ চললেও সংসদের সপ্তম অধিবেশন আহ্বান করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এপ্রিল ১৮, ২০২০ at ০৬:২৭:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিজে/এএডি