যশোরে আইসোলেশনে ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে’ থাকা কিশোরীর মৃত্যু, লাপাত্তা স্বজন

যশোর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডের ‘প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে’ থাকা ১২ বছরের এক কিশোরী সোমবার (৩০ মার্চ) ভোরে মারা গেছে। এরপর তার স্বজনদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার (২৯ মার্চ) বিকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেয়েটির সিম্পটম সম্পর্কে আইইডিসিআরে জানানো হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন করোনার কারণে তার মৃত্যু হয়নি।

যশোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার আরিফ আহমেদ বলেন, রবিবার বিকালে মেয়েটিকে জরুরি বিভাগে আনা হয়। তার সর্দি, কাশি ছিল। পরে তাকে চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়।

সোমবার সকালে যশোরে আইইডিসিআরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের নমুনা সংগ্রহ করার কথা ছিল। কিন্তু ভোর ৪টার দিকে মেয়েটি মারা যাওয়ার পর আইইডিসিআরের স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে মেয়েটির সিম্পটমের বিষয়ে আলোচনা করেন ডাক্তাররা। পরে তাদের জানানো হয়, করোনার কারণে সে মারা যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে যশোরের সিভিল সার্জন (সিএস) শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাদের জানিয়েছেন, স্যাম্পল কালেকশনের কোনও দরকার নেই। শিশুটির মৃতদেহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

আরও পড়ুন:
একজন ডাক্তার-ই একটি হাসপাতাল
টেন্ডুলকারের মেয়ে সারার জীবনযাপন সাধারণ!
করোনায় আক্রান্ত এক, সুস্থ আরো চার

হাসপাতালে রোগীর স্বজনরা নেই জানানোর পর তিনি বলেন, ‘তাদের খুঁজে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। না পাওয়া গেলে আমরা প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবো।’

হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী কিশোরীর নাম কাকলী। বাবার নাম কালাম হোসেন। তাদের বাড়ি যশোর সদরের এনায়েতপুরে।

মার্চ ৩০, ২০২০ at ১৪:১৩:৪২ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/বিটি/তআ