যশোরে এসিসিএফের প্রতারণার অভিযোগ

আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড (এসিসিএফ) যশোর শাখা এক এফডিআর গ্রাহকের সঙ্গে এক’বছর ধরে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাওনা টাকা চাওয়ায় তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। সোমবার সকালে ভুক্তভোগীরা পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে সকলে পালিয়ে যায়।

যশোর শহরের বকচর হুশতলার বিল্লাল হুসাইন আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্স এ্যান্ড ফাইন্যান্স ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের একজন গ্রাহক। ১ বছর আগে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ঝিনাইদহ কুলারবাজার পান্তাডাঙ্গার আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোশারফ হোসেন, সহকারী ম্যানেজার ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের বাঁকরা গ্রামের তরিকুল ইসলামের ছেলে মনিরুজ্জামান মুন্না ও যশোর শহরের খড়কী এলাকার মানিপ্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুল আলম রুবেলের কথায় কয়েক দফায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার এফডিআর গ্রাহক হন। ১ বছর আগে কয়েকটি এফডিআর মেয়াদ পূর্ণ হলেও টাকা না দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দেয়া হচ্ছে মাসের পর মাস।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২৪ ঘন্টায় কোয়ারেন্টিনে আরও ৮৩ জন

অপর এক ভুক্তভোগী যশোর শহরের খড়কী মধ্যপাড়ার রফিকুল ইসলাম আজিজ জানান, তিনি আজিজ কো-অপারেটিভ কমার্সের প্রিন্সিপাল অফিসার মনিরুল আলম রুবেলের কথায় বিশ্বাস করে কয়েক দফায় ৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার এফডিআর গ্রাহক হন। ২০১৪ সালে টাকা রাখলেও তাকে আজ পর্যন্ত একটি টাকাও দেয়া হয়নি। দু’বছর আগে কয়েকটি এফডিআর মেয়াদ পূর্ণ হলেও টাকা না দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে। মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দেয়া হচ্ছে মাসের পর মাস। টাকা না পেয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন তিনি।

ম্যানেজার মোশারফ হোসেন জানান, স্বচ্ছতা ও আইন মেনে চলছে আজিজ কো-অপারেটিভের যশোর শাখা। যশোর শাখার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট মূলত এখন শূন্য। টাকা আটকাপড়ে আছে ঢাকাতে। অল্প সময়ের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে। সব গ্রাহকের টাকা পরিশোধ করা হবে। ভুক্তভোগীদের টাকাও দেয়া হবে।

দেশদর্পণ/এএইচএম/এসজে