৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, ধর্ষক পলাতক

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশুকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মো. নজরুল ইসলাম (৩০) নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। এঘটনায় এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার ভদ্রঘাট উইনিয়নের কুটির চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই যুবক পলাতক রয়েছে।

অভিযুক্ত মো: নজরুল ইসলাম উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের কুটিরচর মধ্যপাড়া গ্রামের মো: শহিদুলের ছেলে।

স্থানীয়রা জনান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে কুটিরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর এক শিশু শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে তাকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বিদ্যালয়ের ২য় তলায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এসময় ওই ছাত্রী চিৎকার করলে আশপাশ ও স্কুলের শিক্ষকসহ অন্যন্য শিক্ষকরা এগিয়ে যায়। এসময় অভিযুক্ত নজরুলকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় স্কুলছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছাত্রীর বাবা আব্দুস সালাম বলেন, আমি আমার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়ে উপযুক্ত বিচার না পেলে আইনের আশ্রয় নেবো। আমি এই ঘটনার চুড়ান্ত বিচার চাই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোছাঃ শমিমা ইয়াসমিন ছেড়ে দেয়া কথা অস্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত নজরুল ইসলাম কে ঐ ছাত্রী দেখিয়ে দিয়েছে। আমরা তাকে চিনতে পেরে ধরে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে নিয়ে আসি। কিছুক্ষণ থাকার পর নজরুলের অভিভাবকরা এসে তাকে বিচার দিবে বলে নিয়ে যায়। পরে বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও শিক্ষরা অভিযুক্ত নজরুলের কাছে বিষয়টি শোনার জন্য ডাকতে গেলে সে পালিয়ে যায়। তবে মেয়েটি ধর্ষন চেষ্টার কথা শিকার করেছে।

বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি দ্রæত স্কুলে আসি। এসে দেখি অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে। দুই পক্ষের কাছে শুনে উপযুক্ত বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

কামারখন্দ উপজেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. জুলহাস ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে পরির্দশন করেছি। এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কে বিষয়টি অবগত করেছি।

দেশদর্পণ/এআর/এসজে