করোনা শনাক্তে বেনাপোল চেকপোস্টে নতুন থার্মাল স্ক্যানার

করোনা শনাক্তের লক্ষে যশোরের বেনাপোল আর্ন্তজাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে নতুন থার্মাল স্ক্যানার বসানো হয়েছে। এখন থেকে করোনা ভাইরাস শনাক্তের জন্য যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এই স্ক্যানারের মাধ্যমে। এর আগে হ্যান্ড থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছিল।

এছাড়া, যশোরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ নানা কার্যক্রম শুরু করেছে। তৈরি করা হয়েছে করোনা ভাইরাস সনাক্ত রোগিদের জন্য আলাদা বেড তৈরি করা হয়েছে। জনসচেনতা বৃদ্ধি ও গুজব বন্ধে তারা কাজ করছে।

যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সনাক্ত রোগিদের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১০টি বেড ও যশোর টিবি হাসপাতালে ৩০টি বেড নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেগুলোতে বেড নির্ধারণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় করোনা সন্দেহে সৌদিফেরত নারী হাসপাতালে

এদিকে, দেশের সর্ববৃহৎ স্থল বন্দর বেনাপোলে চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নতুন থার্মাল স্ক্যানার মেশিন স্থাপন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। ভারত ভ্রমণ শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় দেশি বিদেশী পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা যাবে।

বুধবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে নতুন স্ক্যানার দিয়ে পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে। এছাড়া, আমদানী রফতানি পণ্য বহণকারী ভারতীয় ট্রাকচালক, হেলপার ও রেলওয়ে স্টেশনে বন্ধন ট্রেনের পাসপোর্ট যাত্রীদের হ্যান্ড থার্মাল দিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

গত মঙ্গলবার (১০ মার্চ) বিকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে এই নতুন থার্মাল স্ক্যানারটি স্থাপন করা হয়। এতে স্বস্তি ফিরেছে যাত্রী ও ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাঝে।

বর্তমানে ভ্রমণ, চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হাজার হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এসব যাত্রীদের মধ্যে ১২ শতাংশ রয়েছে বিদেশি যাত্রী। ফলে এ বন্দরে করোনা সংক্রমণের বেশ ঝুঁকি রয়েছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে অপেক্ষারত এক যাত্রী জানান, দেশের বৃহত্তর স্থলবন্দর বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করায় পাসপোর্ট যাত্রীদের দ্রæত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
আরও পড়ুন: করোনার জীবানু শরীরে নিলে মিলবে ৩৫০০ পাউন্ড

বেনাপোল ইমিগ্রেশনে নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ‘আগের থার্মাল স্ক্যানারটিও ভালো ছিল। শুধু ছবি দেখে যেত না। বর্তমানে নতুন থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করায় পাসপোর্ট যাত্রীদের মনের সন্দেহ দূর হয়েছে। এখন আরও দ্রæত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদি কোনও বিদেশি যাত্রীর মধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায় তাহলে তাকে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হবে।’ বাংলাদেশি হলে তাকে দ্রæত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, ভারত থেকে আগত প্রত্যেক যাত্রীকে থার্মাল স্ক্যানার মেশিন দিয়ে স্ক্যানিং করানো হচ্ছে। কোনও যাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া দেশের ভেতর প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যাত্রীদের সচেতনতায় বিভিন্ন পরামর্শ ও প্রচার-প্রচারণার মতো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে।

দেশদর্পণ/একে/এসজে