সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বের, দাসত্বের নয়। তিনি বলেন, আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে দেশের স্বার্থের কথা ভুলে যাই না। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অকৃত্রিম বন্ধু।
বুধবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক আয়োজনে এ কথা বলেন। তিনি কুমিল্লা ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের হাতে নতুন করে দলীয় কর্মী অন্তর্ভুক্তির জন্য ‘প্রাথমিক সদস্য ফরম’ ও ‘গঠনতন্ত্র’ তুলে দেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সে দেশের প্রতিনিধি হিসেবে ‘মুজিব বর্ষের’ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নয়। যারা মোদির বাংলাদেশে আসার বিরোধিতা করছেন, তাঁরাই ভারতের সঙ্গে দাসের মতো আচরণ করেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের মধ্যে ভিপি নুরকে পাসপোর্ট দেয়ার নির্দেশ
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে আলোচনা করতে ভুলে গিয়েছিলেন। সে দলটির নেতারাই ভারতের নেতাদের খুশি করতে দাসের মতো আচরণ করেন।’ বিএনপি এখন নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করছে—উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মোদির বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে যারা বিরোধিতা করছেন, তাঁরা মুজিব বর্ষেরই বিরোধিতা করছেন।’
সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদে জড়িত, সাম্প্রদায়িক মনোভাবের এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধী এমন কাউকে দলের সদস্য না করতে তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, দাগি, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক-ব্যবসায়ী এবং মাদকাসক্তরা আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবেন না।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশদর্পণ/এসজে