মুহিউদ্দীন আমার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন: মাহাথির

মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ ক্ষোভ আক্ষেপ করে বলেছেন, “আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। আর আমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মুহিদ্দীন ইয়াসিন। এজন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন এবং অবশেষে তিনি সফল হলেন।”

রবিবার সকালে মুহিদ্দীনের শপথ অনুষ্ঠানের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মালয়েশিয়ার রূপকার মাহাথির এ কথা বলেন। খবর দ্য স্টারের।

গতকাল শনিবার মুহিদ্দীন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন দেশটির রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ।

তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়েছি। আর আমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে মুহিদ্দীন ইয়াসিন। এজন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন এবং অবশেষে তিনি সফল হলেন।” তিনি বলেন, “তাদের জোট পাকাতান হারাপান শিগগিরই সংসদীয় অধিবেশন আহ্বান করবে। আমরা দেখতে চাই প্রকৃতপক্ষে কার সমর্থন বেশি।”

এর আগে রবিবার সকালে মালয়েশিয়ার অষ্ট্রম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মুহিদ্দীন ইয়াসিন। তিনি মাহাথিরের সরকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন:  শপথ নিলেন মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী করতে সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহীমের দল পিকেআরের ১১ জন আইনপ্রণেতা তাকে সমর্থন দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আকস্মিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাহাথির মোহাম্মদ। তবে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও মন্ত্রিসভা গঠনের আগ পর্যন্ত তাকে অন্তর্র্বতীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজা সুলতান আবদুল্লাহ সুলতান আহমাদ শাহ।

এদিকে, মাহাথিরের দল মালয়েশিয়ার ইউনাইটেড আদিবাসী পার্টি (বারসাতু) এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মুহিদ্দীনের নাম ঘোষণা করলেও গত বৃহস্পতিবার মাহাথির এক ঘোষণায় জানান, যথেষ্ট সমর্থন পেলে আবারও প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরতে রাজি আছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৮ সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় মাহাথির জানিয়েছিলেন যে, তিনি দু’বছর পরই ক্ষমতা ছেড়ে দেবেন। সে অনুযায়ীই গত সোমবার পদত্যাগ করেন তিনি।

তবে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করায় মাহাথিরের প্রতি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তার জোটসঙ্গী আনোয়ার ইব্রাহিম। এর আগে জোটের পক্ষ থেকে ইব্রাহিমকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করা হয়। শুক্রবার পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ আরিফ ইউসুফও মাহাথিরের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেন।

এরপরই মাহাথিরের বারসাতুর চেয়ারম্যান মুহিদ্দীন ইয়াসিনকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেন।

দেশদর্পণ/এসজে