সাফায়েত বাচঁতে চায়

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরে (শিক্ষাবর্ষ :২০১৮-১৯) মেধাবী শিক্ষার্থী সাফায়েত হাসান (রক্তিম) এর দুটি কিডনি ৯৬ শতাংশ অকেজ, প্রয়োজন কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের।

যে সময়টাতে তার মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করার কথা, বন্ধু-বান্ধবীদের নিয়ে আড্ডা দেওয়ার কথা, নিজের জীবনের লক্ষ্য পূরনে এগিয়ে যাওয়ার কথা, কিন্তু ঠিক সেই সময় ভাগ্যের কঠিন বাস্তবতার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকার তাগিদে আপ্রাণ চেষ্টা করছে সাফায়েত।

বই-খাতা ছেড়ে অনেক আগেই তাঁর হাতে উঠেছে প্রেসক্রিপশনস। বর্তমানে তিনি ভারতের চেন্নাই সিইএমএস (ঝওগঝ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। নেফ্রনের ৯৬ শতাংশই অচল। কিডনির কার্যক্ষমতা মাত্র ৪ শতাংশ। ডাক্তার বলেছেন কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট করা না হলে আগামী ৬ মাসের মধ্যেই শেষ হবে জীবনবায়ু।

ফরিদপুর সদরের এক পুলিশ বাবার তিন সন্তানের মধ্যে সবার বড় সে। ক্যানসারে আক্রান্ত পুলিশ বাবার আড়াই বছর ধরে চিকিৎসা চলছে। ধারদেনা, জমিজমা বিক্রি করেই চলছিলো চিকিৎসা। সর্বস্বই হারিয়েছেন প্রায়! পরিবারের আশা ছিলো বড় ছেলে রক্তিমকে নিয়েই। স্নাতকোত্তর শেষ করে কিছু একটা করবেন, হাল ধরবেন সংসারের। ভালো রাখবেন ছোট ভাইগুলোকে।

কিন্তু ২রা নভেম্বরে সব স্বপ্নই যেন উরে গেলো কর্পূরের মতো। যাকে ঘিরে এত আশা তাকে বাঁচানোই যেন এখন ভয়ংকর দুরাশা। হঠাৎ মাথা ব্যাথা, সচরাচরের মতোই ট্যাবলেট। সেই দিন রাতেই ঘুমের ঘোরে স্ট্রোক। পরের দিনই ডান চোখ কার্যত অক্ষম। ক্রিয়েটেনিন টেস্টে ধরা পরে এই জটিল রোগ।

কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট সহ আনুষাঙ্গিক চিকিৎসায় খরচ হবে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা। যার খরচ বহন করা তার ক্যান্সার আক্রান্ত বাবার জন্য একদমই অসম্ভব। তিনি সমাজের বিত্তবানদের আহ্বান করেছেন সাধ্যমত এগিয়ে আসার জন্য। তার সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাচ্ছেন মানুষের দ্বারে দ্বারে।

আসুন আমার সাফায়েতের পাশে দাড়াই। তাকে বাঁচানোর জন্য নিজ জায়গা থেকে বাড়িয়ে দেই সাহায্যের হাত। বেঁচে থাকুক সাফায়াত, পূর্ণতা পাক তাকে ঘিরে তেরি হওয়া স্বপ্নগুলো।

যোগাযোগ: নাইম (০১৭০৫৩২৫০৬৯), অমিতাভ (০১৭৬৩১৩৩৭০০)