কৃষকের জমি কেটে বালু উত্তোলন, বাধা দিলেই হুমকি

জয়পুরহাটের ছোট যমুনা ও তুলশীগঙ্গা নদী থেকে বালু উত্তোলন চলছেই। সরকারীভাবে ডেকে নেওয়া এসব ঘাটে মেশিনের সাহায্যে এবং নদীর পার কেটে আবাদী জমি থেকেও তোলা হচ্ছে বালু। ফলে নদী পারের সাধারন কৃষকরা এখন অনেকটায় জিম্মি বালু মহাল ইজারাদারদের কাছে।

জয়পুরহাটের পাচঁবিবি উপজেলার শীমলতলী, সদর উপজেলার পুরানাপৈলসহ জেলার কয়েকটি স্থানে কিছুতেই থামছেনা অবৈধভাবে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। বালু উত্তোলনের ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে ওই এলাকার সাধারন কৃষকের জমি। আবার কোথাও কোথাও কৃষকদের কে টাকা দেওয়ার কথা বলে জমি খনন করে সেটুকুও দিচ্ছেন না বালু উত্তোলনকারীরা, উল্টো টাকা চাইতে গেলে দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন হুমকি ধামকি।

জয়পুরহাট পাচঁবিবি উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের হামিদা বেগম, খাসবাট্রা গ্রামের হাফিজার রহমান ও একই গ্রামের জয়নুল আবেদিন বলেন, শিমুলতলী গ্রামের ফয়সাল ও তার ভাই মিলে এখান থেকে মেশিন দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করছে, ফলে আমাদের জমি নদীর সাথে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো বলেন যে, বালু উত্তোলনকারী ফয়সাল ও তার ভাইকে নিষেধ করলে তারা কোন ভাবেই শোনেন না, বরং তাদের উল্টো বিভিন্নভাবে হুমকি দেখায়।
আরও পড়ুন: আ’লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক বলেন, বালু উত্তোলনকারীদের নিষেধ করলে তো কোনদিনই শোনে না তারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা প্রশাসনকে অভিযোগ দিলে তারা বন্ধ করে দেয়, কিন্তু কিছুদিন পরেই দেখি আবার চালু করে তাদের এ বালু উত্তোলন, তাই আমরা আর এ বিষয়ে কাউকে অভিযোগ দিয়ে আর কি লাভ হবে।

তবে বালু উত্তোলনকারী ফয়সাল বলেন, আমরা বালুর ঘাট টাকা দিয়ে ডেকে নিয়েছি, আর যেসব কৃষকরা অভিযোগ করছে তা ঠিক না, আমরা তাদের জমি টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে বালু তুলছি।

পাচঁবিবি উপজেলার নিবার্হী কর্মকর্তা নাদিম সরোয়ার বলেন, মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার কোন বিধান নেই, আর অন্যের জমি থেকেতো প্রশ্নই আসেনা। এ ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা হবে বলেও জানান তিনি।

দেশদর্পণ/এএম/এসজে