ভুল প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা, কেন্দ্র সচিবসহ ৫ জনকে অব্যহতি

যশোরের চৌগাছায় এসএসসির প্রথম দিনের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চৌগাছা সরকারী শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে । বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরপরই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম তাৎক্ষনিক কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা সকলকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছেন। পাশাপাশি ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেওয়া সকল পরীক্ষার্থীর খাতা বিশেষ ভাবে মূল্যয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

সোমবার চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।পরীক্ষা শুরু হলে সরকারী শাহাদৎ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে ১৯ জন পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দেয়া হয়। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিষয়টি বুঝতে না পেরে ওই প্রশ্নে পরীক্ষা শেষ করে। পরবর্তীতে খাতা মিলানোর সময় কক্ষ পরিদর্শক বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং দ্রæত ঘটনাটি কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করেন। কেন্দ্র সচিব এ বিষয়টি বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।

নির্বাহী অফিসার দ্রæতই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র সচিব সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুর রহমান, হলসুপার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল জলিল, সদস্য রবিউল ইসলাম, সালমা খাতুন ও লাকি বিশ্বাসকে কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেন। পাশাপাশি নতুন কেন্দ্র সচিব হিসেবে উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, হলসুপার সিনিয়র শিক্ষক নাসির উদ্দিন, সদস্য ফারুক হোসেন, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম হোসেনকে দায়িত্ব দেন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী হলেও অন্য শিক্ষার্থীর মতই এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে হৃদয়

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানায়, কেন্দ্র সচিব আজিজুর রহমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে প্রত্যেক কক্ষের জন্য খাতা ও প্রশ্নপত্র ঠিক করে কক্ষ পরিদর্শকের নিকট বুঝ করে দেন। কক্ষ পরিদর্শক সে অনুযায়ী খাতা ও প্রশ্নপত্র নিয়ে কক্ষে পরীক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। পরীক্ষা শেষে দেখা যায়, কেন্দ্রের তিনটি বিদ্যালয়ের ১৯ জন নিয়মিত পরীক্ষার্থীকে ২০১৮ সালের প্রশ্নে (যে প্রশ্নে ক্যাজুয়ালদের পরীক্ষা দেয়ার কথা) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে এবং ২ জন ক্যাজুয়াল পরীক্ষার্থীকে ২০২০ সালের প্রশ্নে (নিয়মিতদের পরীক্ষা নেয়ার কথা) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এ ঘটনা জানজানির পর অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব আজিজুর রহমান জানান, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। আমি বিষয়টি জানার পরপরই শিক্ষাবোর্ডসহ নির্বাহী অফিসারকে ঘটনাটি জানিয়েছি এবং নির্বাহী স্যার দ্রæত কেন্দ্রে এসে তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, অনিচ্ছাকৃত হোক বা ইচ্ছাকৃত, এটি একটি মারাত্মক ভুল। আমি বিষয়টি জানার পর পরীক্ষায় দায়িত্বে থাকা সকলকে অব্যহতি দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথেও কথা বলেছি। ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দেয়া সকল পরীক্ষার্থীর খাতা বিশেষ ভাবে মূল্যয়ন করা হবে। এ নিয়ে অভিভাবকদের কোন ক্রমেই বিচলিত না হওয়ার আহŸান জানান তিনি।

দেশদর্পণ/এমআই/এসজে