করোনাভাইরাস: কিভাবে বেঁচে গেলেন জানালেন তিনি

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৩৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভয়াবহতার মাঝেও চীনের এক ব্যক্তি এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার পর সফলভাবে তা থেকে রোগমুক্ত হয়েছেন।

ইতিবাচকতা এবং আশা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনলাইনে তিনি তার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিভিন্ন পর্যায় বর্ণনা করেছেন তিনি।

৩৭ বছর বয়সী লি ঝেনডং নামের এই ব্যক্তি চীনের হুবেই প্রদেশের জিংজহু শহরে করোনাভাইরাস সনাক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর সে সময়ের লড়াইয়ের সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন।

লি তার রোগমুক্তির কাহিনী সিক্সসথ টোন নামের ভিডিওতে প্রদর্শন করেছেন। লি জানিয়েছেন, তাকে ১৬ দিন ধরে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। সংক্রমণের বিভিন্ন ধাপ সম্পর্কে তুলে ধরেছেন তিনি।

প্রথম পর্যায়:

লি জানান যে, প্রথম পর্যায়ে ডাক্তাররা তাকে রক্ত ​​এবং আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানোর পাশাপাশি চেস্টের (বক্ষ) রেডিওগ্রাফিও করিয়েছিলেন।

তিনি বলেছেন, ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আক্রান্ত ব্যক্তির যথাযথ পুষ্টির মাত্রা বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, আপনাকে অবশ্যই খাবার গ্রহণে নিজেকে বাধ্য করতে হবে। কারণ খাওয়া বন্ধ করলে আপনি আপনার প্রতিরোধ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারাতে পারেন।
আরও পড়ুন: ‘করোনা’ আতঙ্কে সানি লিওন, ভক্তের সঙ্গে অদ্ভুত ব্যবহার!

দ্বিতীয় পর্যায়:

দ্বিতীয় পর্যায়টি তার জন্য তিন থেকে চার দিন স্থায়ী হয়েছিল। এই পর্যায়ের বিষয়ে লি জানান, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে জ্বর হয়েছি তার।

তৃতীয় পর্যায়:

তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়টি হলো পুনরুদ্ধারের (রিকোভারির) পর্যায়।

লি জানান, তিনি এই সময়কালে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করেছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

চতুর্থ পর্যায়:

রোগমুক্তির (পুনরুদ্ধার) প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের বিষয়ে লি জানান, এই পর্যায়ে তাকে কয়েকদিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। তিনি জানান, এ সময় তাকে নিউক্লিক এসিড পরীক্ষাও করতে হয়েছিল। এই পরীক্ষার নেতিবাচক (নেগেটিভ) ফলাফল আসে। এর অর্থ হলো-‘আপনি ঘরে যেতে পারেন’ (আপনি বিপদমুক্ত)

লি বলেন, আপনাকে অবশ্যই আশাবাদী হতে হবে এবং শেষ পর্যন্ত (লড়াই করার সাহস) ধরে রাখতে হবে। সূত্র: মাদারসিপ ডট এসজি

দেশদর্পণ/এসজে