লালপুরে সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছে কৃষকরা

পরিশ্রমও খরচ কম হওয়ায় ও সল্প সময়ে ভালো ফলন পাওয়ায় নাটোরের লালপুর উপজেলায় রবিশষ্য সরিষা চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। বর্ষা মৌসুমের ধান কেটে এক ফসল ও সাথি ফসল হিসেবে সরিষার চাষ করে থাকে এই অঞ্চলের কৃষকরা।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ‘গত বছরে এই উপজেলায় ২শত ২০ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও চলতি মৌসুমে লালপুর উপজেলায় ৪ শত ২০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় দ্বিগুন। তবে প্রায় কৃষকই এখন উচ্চ ফলনশীল উপষী (বারি-১৪,১৫, টরি-৭ ও বিনা-২, ৩) জাতের সরিষার চাষ করেছে বলে জানান উপজেলা কৃষি বিভাগ।’

সরেজমিনে লালপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা যায়, মাঠ জুরে এখন সরিষার মনকাড়া হলুদ ফুলের সমারহ। তাকালে মনে হচ্ছে সরিষার মনমাতানো হলুদ ফুল যেন হাতছানি দিয়ে কাছে ডাকছে। হলুদ ফুল থেকে মনের আনন্দে মিষ্টি মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির ঝাঁক। এসময় কথা হয় উপজেলার সরিষার চাষী তফিজ উদ্দিনের সঙ্গে তিনি বলেন,‘শুধু জমিতে সরিষার বীজ রোপনের পরে এক বার সেচ, সল্প পরিমানে সার দিলেই সরিষা হয়ে যায়। ২ হাজার টাকা খরচ করে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৪-৫ মন সরিষা পাওয়া যায়। বাজার দর ভালো হলে প্রতিমন সরিষা ২হাজার ৫০০ থেকে ৩হাজার টাকায় বিক্রয় হয়। এ কারনে আমি এবার দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।
আরও পড়ুন: ঘাটলায় উঠার সিঁড়ি থাকলেও নেই নামার ব্যবস্থা

উপজেলার ওয়ালিয়া গ্রামের সরিষা চাষি সাইফুল ইসলাম বলেন,‘খরচ কম ও ফলন ভালো হওয়ায় এবছর আমি দুই বিঘা জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষার আবাদ করেছি। বীজ রোপণের দুই-তিন মাসের মধ্যে সরিষা ঘরে তোলা যায়। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো থাকলে তার সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন ‘আগে এই এলাকায় প্রচুর পরিমান সরিষার চাষ হতো। অল্প পরিশ্রমে অধিক ফসল ঘরে তোলা বর্তমানে এই এলাকার চাষীরা আবারও সরিষা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’ তিনি আরো বলেন,‘জমির উর্বরতা ধরে রাখতে উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সরিষা চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।’

দেশদর্পণ/এআরটি/এসজে