ঘাটলায় উঠার সিঁড়ি থাকলেও নেই নামার ব্যবস্থা

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে কাশিয়ানী উপজেলার ঘোনাপাড়া খেয়াঘাট সর্বসাধারণের জন্য পাকা ঘাটলা নির্মাণ করে জেলা পরিষদ। মেসার্স মেঘনা এন্টারপ্রাইজ ২,৩২,৭৫০টাকায় বরাদ্দ পায়। ঘাটলায় সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠার ব্যবস্থা থাকলেও, নামার কোন ব্যবস্থা নাই। বর্ষা মৌসুমে লাফিয়ে উঠা-নামা করতে নৌকার যাত্রীদের।

কাশিয়ানী উপজেলা ও লোহাগড়া উপজেলার চরপাচাইল, চরঘোনাপাড়া, চরপরানপুর, চরসুচাইল ও পাংখারচর গ্ৰামের একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম ঘোনাপাড়া খেয়াঘাট। এসব গ্রামের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা কাশিয়ানী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করে। এছাড়া হাট-বাজার, ব্যাংক-বীমা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিকিৎসার জন্য কাশিয়ানী উপজেলার ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত শুরু, যেকোন সময় বিস্ফোরণ

তিলছড়া সৈয়াদুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী তিশা খানম জানায়,’ পাকা ঘাটলা নির্মাণ করায় আমাদের যাতায়াতে আরো সমস্যা বেড়েছে। সিঁড়ি দিয়ে উঠার ব্যবস্থা থাকলেও নামার কোন ব্যবস্থা না থাকায়, সবাইকে লাফিয়ে উঠা-নামা করতে হয়। ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে শিক্ষার্থী, বৃদ্ধাসহ নানা বয়সী মানুষের ঝুঁকি নিয়ে উঠানামা করতে হয়।

চর পাচাইল খেয়াঘাট বাজারের ব্যবসায়ী এনায়েত হোসেন শরীফ বলেন,’ শুকনা মৌসুমে আমরা দোকানের মালামাল পারা-পারের সময় অপরিপূর্ণ ঘাটলার থাকার কারণে নদীর পাড় পর্যন্ত ভ্যান গাড়ি নিতে পারি না। ফলে অনেক কষ্টে মাথায় করে ঘাটলার পাশ দিয়ে খেয়ায় উঠতে হয়। ঘাটলায় সিঁড়ি না থাকায় অস্বস্তিতে পারাপার হতে হচ্ছে।

দেশদর্পণ/এসআই/এসজে