রেলওয়েতে চাকুরী দেওয়ায় নামে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারনা

রাজশাহীতে রেলে চাকুরী দেওয়ায় নামে ১৭ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রতারনা অভিযোগ পাওয়া গেছে মামুন (৩০) নামের এক রেলওয়ে কর্মচারী বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় (৬ডিসেম্বর) শুক্রবার ওই প্রতারকের বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী রেলওয়ে কর্মচারী রবি ঘোষ (৫০)।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার নগরীর শিরোইল কলোনী রেলওয়ে কোয়াটারের বাসিন্দা ওপেন লাইন শাখা’র সভাপতি ট্রলিম্যান জহরুলের ছেলে মামুনের বাড়িতে টাকা চেতে যায় ভূক্তভোগীরা। এ সময় রেলওয়ে কর্মচারী প্রতারক জহুরুল তার ছেলে মামুন, রাব্বিসহ আরো ২/৩জন সহযোগী মিলে তাদের বে-ধড়ক পেটায়।

ভূক্তভোগীরা হলেন, রেলওয়ে কোয়াটারের বাসিন্দা রেলওয়ের অতিঃ এফএনসিও’র ড্রাইভার রবি ঘোষ, তার স্ত্রী ছায়াবানী ঘোষ ও ছেলে রঞ্জন কুমার ঘোষ।

ভূক্তভোগী রবি ঘোষ জানায়, গত ইং ২০১৬ সালে তার ভাতিজা রাজিব কুমার ঘোষ, তার ভাই রনি ঘোষ ও রেলওয়ের সিএসটি’র বড় বাবু আকবোরের ছেলে মিজানুর রহমানকে এমএলএসএস ও পোর্টার পদে তাদের তিন জনকে চাকুরী নিয়ে দেওয়ার জন্য ২১ লক্ষ টাকায় মৌখিক চুক্তি হয় জহুরুলের ছেলে মামুনের সাথে।

পরে রবি ঘোষের নিকট অগ্রিম ওই তিন জনের চাকুরীর জন্য ১৭ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে জহুরলের ছেলে প্রতারক মামুন।

প্রতারক মামুন রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের চৌকিদার পদে কর্মরত আছেন। পরে ২০১৭ সালে নিয়োগের তালিকায় ভুক্তভোগী তিন জনের নাম না থাকায় তারা তাদের প্রদানকৃত অর্থ ফেরত চায়।

এরপর থেকে দিবো দিচ্ছি করে সময় পার করেন প্রতারক মামুন। পরে ভুক্তভোগীরা রেলওয়ে আরবিআর শাখা’র সভাপতি মোতাহার হোসেন, সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান, আইনুল হক ও ওপেন লাইন শাখা’র এমএ আক্তারের নিকট বিচার প্রার্থী হন।

আরো পড়ুন:
রাজশাহী সীমান্তে ঢুকে ২ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
যবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি

তারা ভুক্তভোগীদের অর্থ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়ার পরমর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় (৫ডিসেম্বর)  বৃহস্পতিবার সন্ধার দিকে মামুনের বাড়িতে টাকা চাইতে গেলে প্রতারক মামুনসহ তাদের পরিবারের সকল সদস্য মিলে তাদের মারপিট করে।

এ ঘটনায় (৬ ডিসেম্বর) শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী রবি ঘোষ বাদি হয়ে চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে জানতে জহরুল ইসলামের মুঠো ফোনে ফোন দিলে, তিনি বলেন, টাকা লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নাই। মারধরের বিষয়টিও এড়িয়ে যান তিনি ।

অপর দিকে অভিযুক্ত মামুনের মুঠো ফোনে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ গোলাম মোস্তফা জানান, অর্থ নিয়ে প্রতারনার ও মারধরের বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি।

তদন্তের জন্য (উপ-পরিদর্শক) এসআই রাজুকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

ডিসেম্বর ৬, ২০১৯ at ২০:১৭:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/মারারা/এজে