ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না: প্রধানমন্ত্রী

আমরা যদি একটা নিরাপদ পৃথিবী নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হই তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বিশ্ব নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা মানবজাতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে আমাদের সকলকে সক্রিয় হতে হবে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ‘অ্যাকশন ফর সারভাইভাল: ভালনারেইবল নেশন্স কপ-২৫ লিডার্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সিভিএফ এবং ভি -২০ দক্ষিণ-দক্ষিণ এবং ত্রিমুখী সহযোগিতার অসাধারণ উদাহরণ এবং আমরা বর্তমান সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।

আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে শিশুরা আমাদের ক্ষমা করবে না। বিশ্ব নেতাদের প্রতি মুহূর্তের নিষ্ক্রিয়তা পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষের জীবিত মানুষকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, কাজ করার এখনই সময়।

আরও পড়ুন:
নুসরাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামির আপিল
দেশকে বাঁচাতে হলে আ.লীগকে বাঁচাতে হবে: ওবায়দুল কাদের

সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনকে বিশ্বের এক নির্মম বাস্তবতা অভিহিত করে বলেন, এটি এখন মানবজীবন ও পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র এবং প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। মানব ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আছি আমরা, সম্ভবত আমাদের সময়টা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ সময়।

জলবায়ুর পরিবর্তন প্রতিটি দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবে আক্রান্ত দেশগুলোর অস্তিত্বের ওপর হুমকি তাই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অভিবাসী সংকট মোকাবিলায় একটি যথাযথ কাঠামো তৈরি করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কার্যকর অভিযোজন কৌশল অনুযায়ী অভিবাসীদের মাইগ্রেশন হলে আমরা অবশ্যই এর প্রশংসা করবো। আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিতে হবে। বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের স্থানান্তর ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে মনোযোগ দেয়া দরকার।

এছাড়া ২০২০ সালে নেদারল্যান্ডসে ‘ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশসন সামিটে’ অভিযোজন প্রচেষ্টা আরও শক্তিশালী হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সদস্য দেশগুলো সম্মত হলে বাংলাদেশ জলবায়ু ভালনারেবল ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ধ্বংসযজ্ঞে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দায় খুবই নগণ্য বা কোনো অবদানই নেই। এটি গুরুতর অন্যায় একথা বিশ্ব সম্প্রদায়কে স্বীকার করতে হবে।

ইউএনএফসিসিসির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ইউএনএফসিসিসি (ইউনাইটেড নেশনস ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ) খুবই ধীর ও অত্যন্ত অপ্রতুল। আমাদের মতো ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো অভিযোজনের সহায়তায় কদাচিতই উদ্যোগ নেয়া হয়।

ডিসেম্বর ২, ২০১৯ at ২২:০৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জানি/এআই