জেল-হাজতে থেকেও বেতন-ভাতা উত্তোলন

যশোরের মণিরামপুরের টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ,এইচ,এম হাবিবুর রহমান জেল-হাজতে থাকা অবস্থায় বেতন-ভাতা উত্তোলন। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর একটি নাশকতা মামলায় জেল-হাজতে থাকলেও মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিকে তুষ্ঠ করে অক্টোবর মাসের সম্পূর্ণ বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। অধ্যক্ষের এই অনৈতিক সুবিধার গ্রহণের শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।

তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, এ,এইচ,এম হাবিবুর রহমান উপজেলা টুনিয়াঘরা মহিলা আলিম মাদ্রাসার ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই নানা অজুহাতে অনৈতিক সুবিধা নিতে নীতি ও আইন বিরোধী বিভিন্ন কাজের সহিত যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি নিজেকে ধরাকে সরা জ্ঞান মনে করে নিজের খেয়াল খুশি মত কাজ করতে থাকেন। তার দাপটে মাদ্রাসার সকল শিক্ষকবৃন্দ তটস্থ থাকলেও তার খুঁটির জোর সম্পর্কে কারও কিছু জানা নেই। তিনি ২০১৮ সালের ১১ নভেম্বর মণিরামপুর থানায় একটি নাশকতা (ফৌজদারী) মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। এ সমস্ত মামলায় তিনি একবার আটকও হয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিশ্ব এইডস দিবস পালিত
গ্রাহকের টাকা নিয়ে এনজিও সংস্থা উধাও

পরবর্তীতে চলতি বছরের ২০ অক্টোবর ওয়ারেন্ট হয়ে যাওয়া একটি মামলায় আদলতে আত্মসর্ম্পণ করেন এবং জেল-হাজতে প্রেরিত হন। পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর জামিনে বের হয়ে আসেন। ২০ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ১২ দিন তিনি হাজত বাস করছিলেন। কিন্তু জেল থেকে বের হয়ে নভেম্বর মাসের সমস্ত বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেছেন। এ নিয়ে মাদ্রাসাসহ এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসির দাবী মাদ্রাসার পরিচালনা বোর্ডের সভাপতি শহিদুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছ থেকে উৎকচ গ্রহণপূর্বক গোঁপনে তার বিল-ভাউচারে স্বাক্ষর করে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের সুযোগ করে দিয়েছেন।

ইতোপূর্বে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুই মাদ্রাসায় আলাদা-আলাদা ভাবে অধ্যক্ষ ও সুপার পদে হজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে সুপার পদের বিপরীত ৭ মাস বেতন-ভাতাদি উত্তোলন এবং একই সাথে বর্তমান মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ নিয়ে ৭ মাসের বকেয়াসহ ৮ মাসের বেতন-ভাতাদি উত্তোলন করেন। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের অভিযোগসহ নানাবিধ অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এলাকাবাসি লিখিত আবেদন প্রদান করেছেন। যাহা বিভিন্ন দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। জানতে চাইলে অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান বেতন-ভাতাদি উত্তোলনের বিষয়টি স্বীকার করেন এবং বলেন এটি যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়েছে।

মাদ্রাসার সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, বেতন ভাতা উত্তোলন করেছেন ঠিকই কিন্তু তা পুনরায় সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিসেম্বর ১, ২০১৯ at ২০:৫৮:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/দেপ্র/এআই