একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ প্রকৌশলী সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই: রাষ্ট্রপতি

একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ প্রকৌশলী সৃষ্টির কোন বিকল্প নেই। আপনারা জানেন, বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে যে দেশ যতবেশি উন্নত সে দেশ ততবেশি সমৃদ্ধি অর্জন করেছে। আমাদের বিপুল মানবসম্পদ থাকা সত্ত্বেও কারিগরী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা কাঙ্খিক্ষত মাত্রায় অর্জিত না হওয়ায় আমরা আশানুরুপভাবে এগুতে পারিনি। বর্তমান সরকার কারিগরী ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হচ্ছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যাওয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এ পরিকল্পনার আওতায় বিশ্ববিদ্যালগুলোক এযাবতকালের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উন্নয়ন বাজেট প্রদান ও গবেষণা বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। বিদ্যমান সুবিধাসমূহের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুণগত উচ্চশিক্ষা প্রদানে ব্রতী হবে বলে আমার বিশ্বাস। সম্মানিত শিক্ষকম-লী। সাটিফিকেট দেয়া এবং শিক্ষার প্রসারই শেষ কথা নয় । আমাদের প্রয়োজন যুগোপযোগী শিক্ষা। মাথায় রেখে ন্যাপেনা টেকনোলজি , রবোটিক্স, ব্লক চেইন ম্যানেজমেন্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মতো। বিষয়গুলোকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা যাতে দেশের কল্যাণে , মানবতার কল্যাণে , ব্যবহৃত হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।

আরও পড়ুন:
যবিপ্রবিতে চাকুরি বিষয়ক সেমিনার
কেশবপুরে নিরাপদ সড়ক চাই এর ২৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলে উদ্যোগী হবেন বলে আমার বিশ্বাস। অন্যের অনুকরণ নয় বরং আমাদেরকে যাতে অন্যরা অনুকরণ করতে পারে সে লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। অনেক ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতা।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন, নির্ভেজাল খাবার দুষ্প্রাপ্য হয়ে গেছে। খাদ্য ভেজালের কারণে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হচ্ছে। কিছু মানুষ দানব হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে মানুষকে ফেরাতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, আগে শুধু পকেট মারলেই গণপিটুনি দেয়া হতো, এখন খাদ্যে ভেজালকারী মানুষকেও গণপিটুনি দিতে হবে। মানুষকে এ পথ থেকে ফেরাতে হবে। নইলে জাতি হিসেবে আমরা পঙ্গু হয়ে যাবো।

কচু ছাড়া সব কিছুতেই ফরমালিন, নির্ভেজাল খাবার দুঃস্প্রাপ্র হয়ে গেছে। খাদ্য ভেজালের কারণে ক্যান্সারসহ জটিল রোগ হচ্ছে। দেশের মানুষই দানব হয়ে যাচ্ছে। এথেকে ফেরাতে হবে। শুধু পকেট মারলেই গণপিটুনি হয়, এধরণের মানুষকেও গণপিটুনি দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট –১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে আজ আমরা মহাকাশেও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়েছি। আর্থ – সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রােল মডেল হিসেবে বিবেচিত। এই যে আমাদের। সামনে বিশাল কর্মযজ্ঞ, তা বাস্তবায়নে দক্ষ প্রকৌশলীর প্রয়োজন।

এ সময় তিনি গ্রাজুয়েটদেরর বলেন, সততা মানুষের মূল্যবান সম্পদ। কর্মজীবনে সততা ও একনিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়াটেক এডভান্সড রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।

ডিসেম্বর ১, ২০১৯ at ১৯:১৩:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই