বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ, মসজিদের ইমাম গ্রেফতার

রাজশাহীর পুঠিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইয়াকুব আলী (৩৫) নামের এক মসজিদের ইমামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) ভোরে সেনভাগ বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুঠিয়া থানা পুলিশ।

এর আগে ২৪ নভেম্বর ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। গ্রেফতার ইয়াকুব আলী নরসিংদী জেলার বাসিন্দা আবুল হোসেনের ছেলে। তবে তার জাতীয় পরিচয় পত্রে স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে রাজশাহীর রাজপাড়া থানা এলাকায়। তিনি দীর্ঘদিন থেকে পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের গাওপাড়া সেনভাগ জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাইনুল ইসলাম জানান, ইয়াকুব আলী মসজিদের পাশে একটি কক্ষে বসবাস করতেন। সেখানে তিনি স্থানীয় কয়েকজন শিক্ষার্থী কে আরবি পড়াতেন। আরবি পড়ানোর সুত্র ধরে স্থানীয় এক ব্যক্তির ৮ম শ্রেনী পড়ুয়া কিশোরী মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। আটক ইমাম ইয়াকুবের স্ত্রী সন্তানসহ আলাদা পরিবার রয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রায় দুই বছর ধরে তিনি ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অবৈধ সম্পর্কের ফলে মেয়েটি গত জুন মাসে গর্ভবতি হলেও সে বিয়ে না করে বাচ্চাটি নষ্ট করে ফেলে। পরে বিষয়টি মেয়ের পরিবারের লোকজন জানতে পেড়ে তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে সব অস্বীকার করে। পরে মেয়েটির বাবা থানায় এসে ইমাম ইয়াকুব আলী সহ তার সহযোগী আরো দু’জনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশকে আলোকিত করেছেন: মোহাম্মদ নাসিম
পানছড়িতে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার উদ্বোধন

থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, ধর্ষিতা কিশোরীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে (ওসিসি) ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মসজিদের ইমামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে তার দুই সহযোগী পলাতক রয়েছে। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।

নভেম্বর ২৬, ২০১৯ at ২০:৫১:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এমআর/এআই