পুশ ইনের বিষয়টি ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ভারত থেকে পুশ ইনের বিষয়ে সরকারিভাবে তিনি কিছু জানেন না। পত্র-পত্রিকায় বিষয়টি দেখেছেন। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।

রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার একটি আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

কয়েক দিন ধরে ভারত থেকে বাংলাদেশে পুশ ইন হচ্ছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝি না এনআরসির (জাতীয় নাগরিক পঞ্জি) আতঙ্কটা ওদের হবে কেন? এখনো তো এনআরসি…২৭…৩৪ বছর লেগেছে তালিকাটা করতে। প্রসেসে (প্রক্রিয়ায়) অনেক কিছু আছে। আর ভারত সরকার আমাদের বারবার অঙ্গীকার করেছে, ওয়াদা দিয়েছে এনআরসি অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটা কোনোভাবেই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব ফেলবে না। পত্র পত্রিকায় দেখছি যে নাকি পুশ হচ্ছে। কিংবা ভয়ে লোক আসছে যাচ্ছে। আমি ঠিক জানি না। এটা নিয়ে আমাদের আলাপ আলোচনা করতে হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, বাংলাদেশ ও ভারত বড় বড় সমস্যাগুলো মোটামুটি আলোচনার মধ্যে শেষ করেছে। দুই দেশের মধ্যে যে ধরনের পারস্পরিক আস্থা ও আত্মবিশ্বাস অন্যান্য প্রতিবেশীর মাঝে তা খুব কমই আছে। কাজেই ছোটখাটো যে বিষয়গুলো হবে তা একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে দূর হয়ে যাবে।

এ সমস্যা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই ভারত সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এনআরসি নিয়ে তাদের প্রশ্ন করেছি।

আরো পড়ুন:
চৌগাছায় আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় যথাযথ মর্যাদায় ঐতিহাসিক কামান্না দিবস পালিত

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘পুশ ইনের কথা শুনছি মিডিয়া থেকে। আমরা ঠিক এখনো সরকারিভাবে জানি না। ইদানীং পত্র পত্রিকায় অনেক কিছু বের হয়। কিছু সত্য, কিছু মিথ্যা। আর কিছু একটু অতিরঞ্জিত। আমাদের এগুলো জানতে হবে। পুরোপুরি ইস্যুটা বুঝতে হবে। তখন আমি হয়তো এ সম্পর্কে আলোচনা করতে পারব।’

(পুশ ইন সম্পর্কে) যশোর ও ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসকেরা প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এগুলো সরকারিভাবে জানতে হবে। তখন আমরা এ সম্পর্কে আলাপ করতে পারব।’

সীমান্ত থেকে লোকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘না জানলে আমরা কীভাবে বলব। বিজিবির কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাননি বলে জানান তিনি।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বেড়ে যাওয়ার ঘটনা নজরে আসে। ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে এ মাসের ১০ থেকে ২০ তারিখ অন্তত ২০৩ জন ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।

এ ছাড়া গত শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে ৫৯ জনকে আটক করে কলকাতায় আনা হয় বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য। কলকাতার মানবাধিকার কর্মীদের প্রতিবাদের মুখে এখন পর্যন্ত তাদের পশ্চিমবঙ্গে রাখা হয়েছে। এদিকে গত রোববার বেনাপোলের গাতিপাড়া সীমান্তের আমবাগান থেকে পুলিশ ৩২ জনকে আটক করেছে।

নভেম্বর ২৬, ২০১৯ at ১৯:৫৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/প্রআ/এএএম