যবিপ্রবি ছাত্রলীগে পদপ্রার্থী কারো কারো বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ ছিনতাইয়ের অভিযোগ

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) ছাত্রলীগের নতুন কমিটির পদপ্রার্থীদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আলোচনায় অন্তত ১৪ জনের নাম। এদের অনেকের বিরুদ্ধে রয়েছে হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসার অভিযোগ। কেন্দ্রীয় নির্দেশ আগামি ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদ প্রত্যাশীদের সংগঠনের দপ্তর সেলে বায়োডাটা জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকজন তাদের বায়োডাটা পাঠিয়েছেন।

নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের সমর্থকরাও চাঙ্গা হয়েছে। কারা আসছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে সেটি নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে পদপ্রার্থীদের বায়োডাটা আহ্বান করা হয়।

শুক্রবার কমিটি বিলুপ্ত হওয়ায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পদপ্রার্থী ও তার সমর্থকরা চাঙ্গা হয়েছে।

সভাপতি ও সম্পাদক পদে অন্তত ১৪ জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আফিকুর রহমান অয়ন, সদ্য সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আল মামুন শিমন, সদ্য সাবেক উপপ্রচার সম্পাদক ইলিয়াস হোসাইন রকি, শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দে শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও আসিফ আহমেদ জিসান, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর ফয়সাল, শেখ হাসিনা হল ছাত্রলীগের সভাপতি শিলা আক্তার, ইংরেজি বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস রোহিত, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ টনি, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক খন্দকার, পদার্থ বিজ্ঞান ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন, ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল হাসান শিহাব।

 

দীর্ঘদিন কমিটি মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নিস্ক্রিয় থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাংগঠনিকভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে চান পদ প্রত্যাশীরা। তবে নেতৃত্ব নির্বাচনে আওয়ামী পরিবারের সন্তান, সাংগঠনিক, রাজপথের সৈনিক, মাদক, সন্ত্রাসমুক্ত বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়ার দাবি উঠেছে।

এ প্রসঙ্গে পদপ্রার্থী আফিকুর রহমান অয়ন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি নিষ্ক্রিয় ছিল। শুক্রবার কমিটি বিলুপ্ত করায় নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়েছে। নতুন কমিটির নেতা নির্বাচনে অনুপ্রবেশকারী, টেন্ডারবাজ, মাদকসেবী, সন্ত্রাসীদের বয়কট করার দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামী পরিবারের ক্লিন ইমেজের নেতাকে শীর্ষ পদে আনার দাবি জানাচ্ছি। সভাপতি-সম্পাদক পদের প্রার্থী হিসেবে আবেদন করবো। কেন্দ্র যেটি বিবেচনা করবে, মেনে নিবো।

আরেকজন পদপ্রার্থী সোহেল রানা বলেন, নতুন কমিটিতে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও ক্লিন ইমেজধারীদের আনা হোক। এতে দলের ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে সংগঠনও শক্তিশালী হবে। অতীতের মত জরাজীর্ণ কমিটি চাই না। গতিশীল নেতৃত্ব চাই। সেই কমিটি এগিয়ে নিবে সংগঠন। আমি সভাপতি-সম্পাদক দুটি পদের প্রার্থী হিসেবে বায়োডাটা পাঠাবো। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।

জানা য়ায়, ২০১৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সুব্রত বিশ্বাসকে সভাপতি ও এসএম শামীম হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছর মেয়াদি যবিপ্রবি ছাত্রলীগের ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। চার বছর আগে সেই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। নতুন কমিটি না হওয়ায় হতাশ ছিল রাজপথের সক্রিয় নেতাকর্মীরা।

বিস্তারিত আসছে …………

জানতে চোঁখ রাখুন:
দেশ দর্পণLike Our Page
www.facebook.com/deshdarpon

নভেম্বর ০৪, ২০১৯ at ২১:২৩:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/যবিপ্রবি/তআ