চৌগাছায় জাল সনদে ৮ বছর ধরে বেতন নিচ্ছেন কলেজ শিক্ষক !

যশোরের চৌগাছা সরকারি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে এনটিআরসিএ। গত ৬ অক্টোবর এনটিআরসিএ’র সহকারি পরিচালক (পমূপ্র-৩) তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ও বেশিনিক/পমূপ্র/সনদ যাচাই/৭৪৪(অংশ-৩৫)/২০১৭/৬৭৯ স্মারকের এক পত্রে কলেজ অধ্যক্ষকে পত্রে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়।চৌগাছা থানাকেও এবিষয়ে অনুলিপি প্রদান করেছে এনটিআরসিএ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে চৌগাছা সরকারি কলেজের কারিগরি শাখার ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক ও বিভাগীয় প্রধান তরিকুল ইসলাম রিপন ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ৫ম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখিয়ে ২০১১ সালে চৌগাছা ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পান। ওই বছরই তিনি এমপিওভুক্ত হন। শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৪২৩১২৬০০ এবং রেজিঃনং ছিল ৯০০৩১১। সম্প্রতি এনটিআরসিএ’ সনদ যাচাই করে দেখে ওই শিক্ষকের সনদটি সঠিক নয়। তিনি ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন নি। ওই পরীক্ষায় তিনি আবশ্যিক বিষয়ে পেয়েছিলেন ৩০ এবং ঐচ্ছিক পরীক্ষায় পান ৩৬।

এরপর ওই শিক্ষকের সনদটি সঠিক নয় মন্তব্যসহ তাঁর আবশ্যিক ও ঐচ্ছিক বিষয়ের নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়েছে ”উপরে বর্ণিত তালিকার ক্রমিক নং-১০এ বর্ণিত সনদধারী জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন মর্মে দালিলিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বিধায় উক্ত জাল ও ভূয়া সনদধারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে থানায় মামলা দায়ের পূর্বক অত্র অফিসকে অবহিত করণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।”

এনটিআরসিএর ওয়েবসাইটেও পত্রটিআপলোড করা হয়েছে। তবে কলেজ সূত্রে জানাগেছে কলেজ অধ্যক্ষ রবিবার এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এবিষয়ে থানায় মামলা করেন নি।

চৌগাছা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম কবির বিষয়ের সত্যতা স্বীকার করলেও নিউজ না করার জন্য বারবার অনুরোধ করেন।

অন্যদিকে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামের ব্যবহৃত ০১৯৮১০১৯৯২১ ও ০১৭২৩০৭৫৭২৭ নম্বরের সেলফোন দুটিতে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।

 

অক্টোবর ২৭, ২০১৯ at ১৭:১৯:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/তআ/আজা