ইউএনওর মোবাইল ক্লোন করে আবারো প্রতারণার চেষ্টা

যশোরের চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলামের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর ক্লোন করে আবারো প্রতারণার চেষ্টা করেছে একটি প্রতারক চক্র।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, চৌগাছা থানার ওসিকে আইনি ব্যবস্থার জন্য জানানো হয়েছে।

সোমবার (০৭ অক্টোবর) প্রতারক চক্রটি চৌগাছা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফকে ইউএনওর মোবাইল নম্বর ক্লোন করে ফোন করে প্রতারণার চেষ্টা করে।

চৌগাছা কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল লতিফ বলেন সোমবার সকাল ১০.১১ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলামের অফিসিয়াল মোবাইল নম্বর থেকে একটি কল আসে। অফিসিয়াল নম্বরটি আমার ফোনে সেভ করা ছিল। ফোন করে বলা হয় আমি ইউএনও বলছি….। পরে ০১৭০৫৮১৮২৫৮ নম্বরটি দিয়ে বলা হয় এটা আমার ব্যক্তিগত নম্বর। আমার অফিসিয়াল নম্বরে ভাল শোনা যাচ্ছে না। ব্যক্তিগত নম্বরে কল দেন বলে কেটে দেয়া হয়।

০১৭০৫৮১৮২৫৮ নম্বরে কল দিলে ওপার থেকে বলে আপনি কি প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারি ল্যাপটপ পেয়েছেন? আমি পাইনি বললে ওপার থেকে বলে তাহলে আপনার নাম তালিকায় রাখলাম। বিকেল পাঁচটায় অফিস থেকে ল্যাপটপ নিয়ে যাবেন। আরো বলা হয় খরচের জন্য ৮ হাজার টাকা লাগবে। সেটি বিকাশ নম্বরে এখনই পাঠিয়ে দেন। বলে বিকাশ নম্বর দিতে উদ্যত হলে নম্বর না নিয়ে আমি বলি বিকাশে নয় আমি এখনি আপনার অফিসে আসছি। তখন ওপাশ থেকে বলা হয় তাহলে তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ দিয়ে দেয়া হলো।

আরও পড়ুন:
তিন সন্তানের জন্ম দিলেন এক প্রসূতি
বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যার প্রতিবাদে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ

অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ আরো বলেন, এরপরই আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যাই। তখন তিনি একটি হল রুমে একটি মিটিংয়ে থাকায় তার সিএ মহিউদ্দিনকে জানিয়ে আসি। পরে একটার পর ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে বিষয়টি অবহিত করি। তিনি এবিষয়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সতর্ক থাকতে বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অধ্যক্ষ সাহেব বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টির আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য চৌগাছা থানার ওসিকে বলেছি। তিনি বলেন একটি চক্র সারাদেশেই মোবাইল ক্লোন করে এই অপরাধ করে আসছে।

এর আগে জাহিদুল ইসলাম চৌগাছায় ইউএনও হিসেবে যোগ দেয়ার পরপরই জুন মাসে চক্রটি এভাবে ফোন করে উপজেলার দরগাহপুর দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা রবিউল ইসলামকে তার প্রতিষ্ঠানে ১১টি ল্যাপটপ দেয়ার কথা বলে ৭৮,৫৪০ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে বিকাশে নিয়ে নেয়। এঘটনায় চৌগাছা থানায় মামলাও হয়েছিল।

অক্টোবর ০৭, ২০১৯ at ১৯:৪০:৩০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/জেআর/কেএ