রাবি ছাত্রলীগের মারামারিতে আহত ৭

আবাসিক হলের গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দলীয় কর্মীদের মারধর করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা। দু দফা মারামারিতে ৭ জন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে মাদার বক্স হলের গেস্টরুমের ঘটনার পর দুপুর দেড়টার দিকে মারামারি হয়। এই প্রতিবেদন লেখা র্পর্যন্ত ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আহতরা হলেন দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, লোক প্রশাসনের সোহেল, ইতিহাস বিভাগের রাজিব মারধরের শিকার ৭ জন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী৷ এদিকে মারধরকারীরা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।

এ বিষয়ে সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে একবছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমি শাখা ছাত্রলীগে কোনো পদ পায়নি। এক বছরের কমিটি তিন বছর হয়ে গেছে। এ ই তিন বছর ধরেই আমার ছেলেদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২ টার দিকে গেস্টরুমে ছিলেন ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল। এসময় বাকির অনুসারী লিমন গেস্টরুমে আসেন। সেখানে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সেই ঘটনা হলের সামনে মারামারিতে গড়ায়।

আরও পড়ুন:
প্রাণ থাকতে পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জি করতে দেবেন না : মমতা
‘৪০ লাখে নেতা হয়েছি, ছয় মাসে হবে দ্বিগুণ’

তবে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, গেস্টরুমে ঝামেলার পর লিমন বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের রুম ভাঙচুর করে। পরে কামরুল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এদিকে সহসভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত মারামারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুনু মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমে ঘটনার সূত্রপাত। পরে একটি বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর আছেন।

সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯ at ১৮:০৯:২৯ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আহা/আক/এসএস/কেএ