মামলা তুলে নিবি নইলে গুলি করে মেরে ফেলবো, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব

মহানগরীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে বসত বাড়ীর শয়নকক্ষে ঢুকে দুই জনকে কুপিয়ে আহত করেছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ও শুভ বাহিনীর সদস্যরা।

এ সময় তারা রামদা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে শামীম (৩৫), লাদেন (২০) নামের দুই যুবককে।
শুক্রবার (২১) জুলাই সন্ধা ৭টায় মহানগরীর মতিহার থানাধীন কাজলা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত লাদেন মহানগরীর মতিহার থানার কাজলা চৌ-রাস্তার মোড় এলাকার কুরবানের ছেলে। অপরজন শামীম (৩৫), তিনি কুরবানের আপন ভাই, তার পিতার নাম মৃত ওয়াজ শেখ।

আহত লাদেনের পিতা কুরবান জানায়, রাসিক নির্বাচনের সময় তুচ্ছো ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব ও শুভ বাহিনীর সদস্যরা কুরবানকে কাজলা ফুলতলা শহররক্ষা বাঁধের উপর ব্যপক মারপিট করে আহত করে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুরবান তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা তুলে নিতে কয়েকদিন ধরে চাপ দিয়ে আসছে বিপ্লব ও শুভ।

আরো পড়ুন :
>> শাহজাদপুরে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
>> শাহজাদপুরের ইউএনও সাদিয়া আফরিনকে বগুড়ায় বদলি

তাদের কথায় কর্ণপাত না করায় শুক্রবার সন্ধা ৭টার দিকে তাদের নেতৃত্বে কুরবানের বাড়ির বসত ঘরে ঢুকে হামলা চালায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিপ্লব, শুভ ও তাদের সহযোগী মৃদুল, পিয়াস, অলিদ, জিতু, সহ আরো ১৮/২০জন হামলা অংশ নেয়। এ সময় তারা কুরবানের ভাই শামীমকে রামদা হাসুয়া দ্বারা মাথায় ব্যপক কুপায় এবং পুরো শরীরে জিআই পাইপ ও হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে। একই সময় কুরবানের ছেলে লাদেনকে রামদা ও হাসুয়া দ্বারা কুপিয়ে বাম হাতের কবজি ঝুড়ে দেয় এবং পুরো শরীরে জিআই পাইপ ও হাতুড়ি দ্বারা ব্যাপক আঘাত করে।

পরে বাড়ির লোকজন ও প্রতিবেশীরা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর্তমানে রাত ১১টা শামীম রামেকের ৮ নং ওয়ার্ডে এবং লাদেন ওটি’তে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মতিহার থানার ওসি মোঃ রুহুল আমিন ও সঙ্গীয় ফোর্স।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন জানান, কাজলা চৌরাস্তা এলাকায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোন পক্ষ এখনো কোন অভিযোগ দেয় নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জুলাই  ২২, ২০২৩ at ১৬:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মারারা/শাস