গাজীপুরবাসীর দাবি নগরপিতা হিসেবে রাসেলকে পাশে চাই

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ১৭ জন। তবে মেয়র পদে কে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সেটিই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু । এবার পুরোনো অনেক নেতাদের সাথে নতুন অনেক মুখও দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের হাইকমান্ডে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে । রমজানের পর তফসিল ঘোষণা হতে পারে এমনটি ভেবে এত দিন চুপচাপ ছিলেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা । তবে অনেকটা আকস্মিকভাবেই তফসিল ঘোষণায় সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রস্তুতি নিতে তোড়জোড় শুরু করেছেন । আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেল তার কর্ম দক্ষতায় তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায়ের সকল নেতা কর্মী ও সমর্থকদের মন জয় করে নিয়েছে ।

আরো পড়ুন :
> আজ পহেলা বৈশাখ, বাংলা ১৪৩০ সনের প্রথম দিন
> সাংবাদিক আতিকুরের মায়ের ইন্তেকাল, বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল । তিন দিন পর তা যাচাই-বাছাই করা হবে এছাড়া মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৮ মে । এরপর প্রতীক বরাদ্দ হলে প্রচারে নামতে পারবেন প্রার্থীরা । আবার গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার নতুন চমক আসতে পারে বলেও ধারণা করছেন অনেকে । তারা বলছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনে এবার আওয়ামী লীগ একেবারে নতুন কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারে- যাকে নিয়ে কোন ধরণের বিতর্ক নেই, যার ইমেজ একদম ক্লিন এবং যিনি এসব গ্রুপিংয়ের বাইরে। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ কাকে মনোনয়ন দেয়। গাজীপুরে প্রার্থী নির্ধারণে এখনো সমস্যায় আছে আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক নীতি নির্ধারণী নেতা। এ ক্ষেত্রে মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব কামরুল আহসান সরকার রাসেলই এখন পর্যন্ত মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন ।

গাজীপুরের স্থানীয় নেতা কর্মীরা মনে করেন, মানবিক, সামাজিক মানুষ হিসেবে সকলের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে পছন্দ করেন রাসেল সরকার । তিনি ক্লিন ইমেজের একজন মানুষ। এবার আসন্ন গাজীপুর সিটি নির্বাচনে তিনিও আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনয়ন আশা করেন । দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে আলোচনা সমালোনার উর্ধ্বে থেকে মনোনয়ন বোর্ড যদি ইয়ং জেনারেশন এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খোঁজেন তবে রাসেল সরকারের নামই সকলের মুখে মুখে শুনা যায় ।

স্থানীয় সিনিয়র নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা জায়, রাসেল ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে যুব রাজনীতিসহ আওয়ামীলীগের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন । তিনি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে দলের পক্ষে শক্তিশালী ভুমিকা রাখার চেষ্টা করেছেন । সারা পৃথিবীতে যখন করোনা মহামারিতে আক্রান্ত তখন আমাদের দেশেও করোনা মহামারির কঠিন পরিস্থিতিতে দেখা দেয় । সে সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মানুষের পাশে ছিলেন মানবিক এই নেতা । করোনাকালে মহানগরের অসহায় কর্মহীন মানুষের পাশে ছিলেন । খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে সহায়তা দিয়েছেন । করোকালে কৃষক যখন ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিল না তখন তিনি কৃষি শ্রমিকের কাজ করেছেন । তিনি মহানগর যুবলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে কৃষকদের ধান কেটে মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছেন । আমাদের মহানগরীর নিচু ও বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন । যার ফলে গাজীপুর মহানগরীর তৃনমুল পর্যায়ের মানুষের মধ্যে রাসেল সরকারের প্রতি ভালোবাসা ও আগ্রহ রয়েছে । মানুষ তার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডের পজিটিভ চিন্তাভাবনা করেন । এ কারণে আগামী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কামরুল আহসান সরকার রাসেল কে মনোনয়ন দেবেন বলে আমরা বিশ্বাস রাখি ।

গাজীপুররের সিনিয়র নেতারা আরো জানান, রাসেল যুবলীগের (ওমর ফারুক-হারুন কমিটির) সাবেক নির্বাহী সদস্য, ২০০৫-২০১০ সাল মেয়াদে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সাবেক সভাপতি, একই সময়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ২০০০ সালে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র সংসদের এজিএস, ১৯৯৬ সালে একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্রসংসদের ক্রীড়া সম্পাদক, ১৯৯৫ সালে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ, গাজীপুর সদর থানার সভাপতি ছিলেন ।

বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে শিক্ষক, ডাক্তার, গার্মেন্টস শ্রমিক, ব্যাবসায়ী, রিকসা চালক, দোকানদারসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথাবলে জানা যায়, কামরুল আহসান সরকার রাসেল একজন ক্লিন ইমেজের লোক বলেই জানি। তিনি এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও সামাজিক-মানবিক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন । তার বিরুদ্ধে আমি কখনও চাঁদাবাজি, ধান্দাবাজী, দখলবাজির অভিযোগ শুনিনি। সকল আলোচনা-সমালোচনার উর্ধ্বে থেকে পুরাতন প্রার্থীদের বাদ দিয়ে ইয়ং জেনারেশনের ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী খুঁজেন তবে কামরুল আহসান সরকার রাসেলের নামই সবার মুখে চলে আসবে ।

এবার মেয়র পদে গাজীপুরে সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন রাসেল সরকার কে দেওয়া হোক । আমরা এবার মাননীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও যেমন চমক দেখেছি, রাসেল ভাই দলীয় মনোনয়ন পেলে একই ভাবে আমরা গাজীপুরবাসী তেমনি চমক মনে করবো ।

গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল বলেন, শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আমি জানি প্রিয় নেত্রী আপামোর জনসাধারণের মনের কথাগুলো সব অনুধাবন করতে পারেন । সে কারণেই আমার আত্মবিশ্বাস সবচেয়ে’ বেশি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের মানুষের মনের যে আশা/প্রত্যাশা পূরণ করার জন্যই এবারের নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশা রাখি । আমি আশাবাদী এবারের গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পাবো । আমি চাই প্রিয় নেত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘেষণা দিয়েছেন, আমাদের দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না । প্রিয় নেত্ররীর ঘোষণায় উজ্জীবিত হয়ে আমি সিটিতে যাদের জমি আছে ঘর নেই, তাদের খুঁজে বের করে আমার সাধ্য অনুযায়ী কিছু মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি ।

করোনাকালে আমরা সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় পড়েছিলাম তা হলো অক্সিজেন সংকট । সে সময় হাসপাতালগুলোও অক্সিজেন সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছিল । করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন সার্ভিসের ব্যবস্থা করেছিলাম । সেখানে ৫০ জন প্রশিক্ষত নেতা-কর্মী ছিল ।  তারা আমার সঙ্গে স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়েছে । কোন রোগীর অক্সিজেনের জন্য ফোন দেয়া মাত্র আমাদের নেতা-কর্মীরা সেখানে অক্সিজেন পৌঁছে দিয়েছে এবং সেবা দিয়েছে । এমনইভাবে করোনাকালে অসহায় রোজাদারদের কাছে সকল ওয়ার্ডে ইফতার নিয়ে ঘুরেছি । অসহায়, পঙ্গু ও পিছিয়ে পড়া মানুষের হাতে ইফতার পৌঁছে দিয়েছি । অসহায়-পঙ্গু ব্যক্তিদের আমি হুইল চেয়ার কিনে দিয়েছি । বিধবা ও কর্মহীন নারীদের আমি সেলাই মেশিন কিনে দিয়েছি ।

এভাবে মানবিক কর্মকান্ডে আমি দীর্ঘদিন জড়িত রয়েছি । এসব বিবেচনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন তাহলে তাঁর সম্মান রাখতে পারবো ইনশাল্লাহ । মেয়র হিসেবে জয়লাভ করবো বলে আশা করি ।

এপ্রিল ১৪, ২০২৩ at ১১:১৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/ আক/শেরাহা/ ইর