রাহুল গান্ধীর লোকসভার পদ বাতিল

শঙ্কাই সত্যি হলো। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। গত লোকসভা নির্বাচনে জয় পেয়ে তিনি কেরালা রাজ্যের ওয়ানাডের থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) ভারতের লোকসভার সচিবালয়ের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়, কেরালার ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ বাতিল করা হয়েছে। এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে সাংসদ রাহুল গান্ধী, রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, এবং কেরালার রাজধানী তিরুবনন্তপুরমের মুখ্য নির্বাচনী অফিসে।

তবে কংগ্রেস নেতারা এই রায়কে আইনি ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ক্ষমতাসীন বিজেপি যথারীতি রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বংশগত নামের পদবি নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে মানহানির মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন গুজরাটের আদালত। চার বছর আগে মামলাটি করেন বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের সাবেক মন্ত্রী পুর্নেশ মোদি। ‘সব চোরের নামের পদবি মোদি হয় কী করে?  মন্তব্যের জেরে রাহুলের বিরুদ্ধে এ মামলা হয়।

সাজা হওয়ার পরই রাহুলের সংসদ সদস্য পদ হারানো নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন মনমোহন সিংয়ের সরকার সুপ্রিম কোর্টের সেই রায়ের বিরুদ্ধে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল। কিন্তু, সেই সময় অর্ডিন্যান্স ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। কংগ্রেসে রাহুল সমর্থকরাও এই বিক্ষোভে শামিল হয়েছিল। যার জেরে মনমোহন সরকার সেই অধ্যাদেশ বা অর্ডিন্যান্সটি ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। সেই অধ্যাদেশ আজ রাহুলের কাছেই বুমেরাং হলো।

আরো পড়ুন :
> অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের কষ্টের সময়ে সরকার পাশে আছে
> কালীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত-১, আহত ২০

এ বিষয়ে বিজেপি এবং বামপন্থী-সহ তৎকালীন বিরোধীরা এই অর্ডিন্যান্স নিয়েও মনমোহন সিং এর সরকার এবং কংগ্রেসের কঠোর সমালোচনা করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের এই অর্ডিন্যান্স পাস হওয়ার কয়েকদিন পরে, ২০১৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাহুল গান্ধী দিল্লিতে দলের এক সাংবাদিক বৈঠকও করেছিলেন। আজ এত বছর পরে সেই যুগান্তকারী রায়ের কারণেই সাংসদ পদ হারালেন রাহুল গান্ধী। এবার তিনি এবং তার কংগ্রেস কী করে, সেটিই এখন দেখার। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া’র।

মার্চ ২৪, ২০২৩ at ১৬:৪৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/ভোকা/সুরা