রমজান মাসকে সামনে রেখে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় ডিম সহ সবজির দাম

মুবারক হে মাহে রমজান, পৃথিবীর সকল দেশে পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর উপর ছাড় দেয়া হয়। আমাদের বাংলাদেশের চিত্র ভিন্ন, রমজান এর পূর্বেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম বাড়িয়ে দেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা, হয়রানির শিকার হয় সাধারণ মানুষ, দেখে ও না-দেখার ভান করে প্রশাসন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ কারী কর্মকর্তারা।

রমজান মাসকে সামনে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম। গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে হালিতে এর দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। খুচরা দোকানে গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা, আজ বুধবার সকালে প্রতি হালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। ডিমের পাশাপাশি অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যেমন পেঁয়াজ, ডাল ও সবজির দামও বেড়েছে। ডিমের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বেশি থাকায় ডিমের চাহিদা বেড়েছে। পাইকার এবং মজুদকারীরা বেশি মুনাফার জন্য বাজারে চাহিদার অনেক কম ছাড়ছেন ডিম। এ কারণে ডিমের দাম বেড়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির খাদ্যের দাম বেশি থাকায় খামারিরা মুরগির ডিম উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়ায় খামারে মুরগির ডিমের উৎপাদন প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। এ কারণেই ডিমের দাম বাড়ছে। বর্তমানে খামার থেকে ১১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। ডিমের ব্যবসা নিয়ন্ত্রিত হয় উপজেলার বিভিন্ন পোল্ট্রি শিল্প থেকে। বুধবার সকালে পাইকারিতে এ বাজারে ১০০ ডিম( পোল্ট্রি ) বিক্রি হয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ টাকায়। ১০০ ডিম (দেশি হাঁসের) ১২০০ টাকা ও দেশি মুরগির ডিম ১৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আরো পড়ুন :
>> পাইকগাছায় আর আর এফ এর ফ্রী স্বাস্থ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
>> মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ

উপজেলার নাগরী, সোম বাজার, জামলপুর, দালান বাজার, আওড়াখালী বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা হালি। হাঁসের ডিম ৬০ থেকে ৬৫ ও দেশি মুরগির ডিম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে তা বিক্রি হতো যথাক্রমে ৪০ টাকা, ৪৫ টাকা ও ৫০ টাকা হালিতে।উপজেলার ডিম ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবির ও সুমন মিয়া বাজারে ডিম ব্যবসায়ী জানান, হঠাৎ করে বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি, ডাল ও সবজির দাম বেড়েছে। এ কারণে ডিম কেনার হিড়িক পড়েছে। এ বিপুল চাহিদা সামাল দিতে বাজারে ডিমের সংকট তৈরি হয়েছে। তাছাড়া রমজান মাস সামনে রেখে এ সময়টায় ডিমের দাম প্রতি বছরই কিছুটা বাড়ে।

উপজেলার কালীগঞ্জ বাজারের ডিমের অন্যতম পাইকারি বিক্রেতা সুমন মিয়া বলেন, হঠাৎ শীতের পরে গরম বেড়ে যাওয়ায় পোলট্রি খামার থেকে ডিম উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে ডিম কম আসায় দাম বেড়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে দাম কমে আসবে। তবে খুচরা বিক্রেতারা এ সুযোগে ডিমের দাম বেশি নিচ্ছে।অন্য দিকে পেয়াজ গত রবিবারে পাল্লা ছিলো ১৫০ টাকা, আজ ১৬০ টাকা, রসুন এর কেজি ছিল,১০০, আজ ১২০ টাকা করে বিক্রি করছে দোকানীরা। আলুর পাল্লা ছিলো ১০০, আজ ১২০ টাকা, কাচাঁ মরিচ প্রতি কেজি ছিল, ৮০ টাকা যা আজকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছে দোকানীরা।

ছোলা বুট ছিল ৮০, টাকা প্রতি কেজি যা আজ ৮৫ টাকা কেজি, বেসন১০০ টাকা কেজি ছিল যা আজ১৪০ টাকা করে বিক্রি করছে । থেমে নেই ব্রয়াল মুরগির দাম ও কিছু দিন পূর্বে ব্রয়লার মুরগী ছিল১৫০ টাকা কেজি যা আজকের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়েলার২৪৫ দরে বিক্রি করছে। থেমে নেই মাছের বাজারও যেন মাহে রমজান না আসতেই বাজারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে দোকানীরা,বেশি মুনোফা লাভের আসায় এবং বাজার মনিটরিং না থাকায় হু হু করে বারছে মসলার দাম। কাচাঁ বাজারে ও সবজির দাম আকাশ চূম্বী হয়েছে, টমেটোর কেজি ছিল ২০টাকা করে তিন দিনের ব্যবধানে আজকের বাজারে ৩০ টাকা করে বিক্রি করছে। কালা বেগুন ছিল ২০ টাকা কেজি যা আজ ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

মার্চ ১৫, ২০২৩ at ২১:০৭:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোমু/শাস