সরিষার বাম্পার ফলন ভাঙ্গুড়ায়

সরকারি প্রণোদনায় সার এবং উন্নত জাতের বীজ বিনামূল্যে পেয়ে চলতি মৌসুমে সরিষা চাষে ব্যস্ত সময় পার করেছেন পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার কৃষকেরা। আবহাওয়া অনূকূলে থাকায় বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে রঙিন হাসি ফুটে উঠেছে। সরিষার হলুদ হাসিতে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।

এ দিকে আগামী মৌসুমে সরিষার চাষাবাদ আরও বৃদ্ধি পাবে এবং চাষিরা অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে দাবি করছেন উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কয়েক বছর ধরে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট’ উদ্ভাবিত উচ্চ উচ্চ ফলন শীল (উফশী) জাতের সরিষা চাষে কৃষকদের উদ্ধুূদ্ধ করে কৃষি বিভাগ।

ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যেকটি মাঠে চোঁখে পড়ছে অবারিত সরিষার ক্ষেত। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু পাকা হলুদের সমারোহ। কৃষক সরিষার আবাদ করেছে প্রাণ খুলে। অল্পদিনের আবাদে কৃষকদের বেশি একটা খরচ হয় না বলে তাঁরা সরিষার আবাদ করে থাকেন। আমন ধান উঠার পর পর কৃষকেরা জমি চাষ করে অথবা অনেকেই ধানের জমিতে চাষ ছাড়াই ছিটিয়ে সরিষার আবাদ করে থাকে।

উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের ছোটবিশাকোল গ্রামের কৃষক রব্বান আলী বলেন, গত বছর তিন বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছিলাম। ফলন ভাল হওয়ায় এ বছরও প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ইতিমধ্যে কিছু কিছু জমি থেকে সরিষার গাছ উঠাতেও শুরু হয়েছে। যদি আবহাওয়া ভালো থাকে তাহলে কৃষকরা বুকভরা আশা বেঁধেছে। নিজ নিজ চাহিদা মেটানোর পর বিক্রি করে অনেক লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এ কৃষক।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীত থাকলেও উপজেলায় এবার সরিষার ভাল ফলন হয়েছে। এছাড়া এ উপজেলার মাটি সরিষা আবাদের জন্য বিশেষ উপযোগী।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরিষা চাষীদের যথাযথ পরামর্শ ও সহযোগীতা করছেন মাঠে থেকে

আরো পড়ুন:
>মোবাইলে কল দিলেই শোনা যাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ
>রাজশাহীতে ২৫ প্রকল্প উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা: শারমিন জাহান দেশ দর্পণ কে জানান, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় চলতি বছর ৫ হাজার ৫৩০ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এ বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ৮ হাজার ১৮.৫ মেট্রিক টন সরিষা উৎপাদন হবে বলে আশা প্রকাশ করছি। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরিষা উঠানো শুরু হয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সম্পুর্ণ সরিষা উঠানো এবং মাড়াইয়ের কাজ শেষ হবে। কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কৃষকরা সরিষা উত্তোলন করে বোরো আবাদ করতে পারেন বলে এটাকে ‘ফাও ফসল’ হিসেবে অভিহিত করে থাকেন অনেকে।

জানুয়ারি ২৯.২০২৩ at ১৬:০৯:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসআর