বিএনপি লাঠি আর আগুন নিয়ে এলে, খেলা দেখানো হবে: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি যদি সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করে, আগুন আর লাঠি নিয়ে আসে, তবে খেলা কাকে বলে, তা দেখানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিএনপি সমাবেশের নামে সমাবেশস্থলে এক সপ্তাহ আগে থেকেই কাঁথা-বালিশ, লেপ-তোশক, কম্বল, পাটি নিয়ে জড়ো হয়। শুধু তাই নয়, তারা মশার কয়েল পর্যন্ত নিয়ে এসে শুয়ে থাকে।

আমরা তাদের ১০ তারিখের (ডিসেম্বর) কর্মসূচিতে কোনো বাধা দিতে চাই না। মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা জেলার মোক্তারপাড়া মাঠে আয়োজিত আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এবার খেলা হবে, মাস্টারমাইন্ড হাওয়া ভবনের ছোকরা তারেকের বিরুদ্ধে ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ফখরুল সাহেব, জনসমুদ্র কাকে বলে নেত্রকোনায় এসে দেখে যান। আপনারা কয়েকজন লোক ভাড়া করে এনে বক্তব্যে বলেন বিএনপির জনসমুদ্র। এখানে আসেন, দেখেন, মানুষ কারে কয়। শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই উন্নয়ন টিকে রাখতে হলে বারবার শেখ হাসিনা সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনতে হবে। তা না হলে এই বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে আবার ধ্বংসযজ্ঞ হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন:
>তিন দলের নকআউট নিশ্চিত, বাকি আছে ১৩ দল দেখেনিন পয়েন্ট টেবিল
>যশোরে অনলাইন জুয়া সহ অবৈধ ডলার বেচাকেনার দুই সদস্য আটক

আমাদের ক্ষমতার উৎস বন্দুকের নলে নয়। জনগণের সমর্থনেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনাই একমাত্র গণতন্ত্রের নেতা। তাঁর মতো আর কেউ নেই। আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে, গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধকে বাঁচাতে হবে, তা না হলে খবর আছে।’ তিনি বক্তব্যের শেষে আবারও বলেন, ‘খেলা হবে। কী ভাইয়েরা, কিসের খেলা হবে? গণতন্ত্রবিরোধীদের বিরুদ্ধে, আন্দোলনের নামে যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে, ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় তাঁদের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

এর আগে দুপুরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিয়র রহমান খান। সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আহম্মদ হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার ও রেমন্ড আরেং। দীপু মনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিএনপি গলাটিপে হত্যা করেছে। এখন আর সেই পদ্ধতিতে নির্বাচনের সুযোগ নেই।

সারা বিশ্বে যেভাবে নির্বাচন হয়, সেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন হবে। সম্মেলন পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান। সম্মেলনে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্য শেষে কমিটি ঘোষণা করেন। এতে মো. আমিরুল ইসলামকে সভাপতি মনোনীত করা হয়েছেন। আর মো. শামছুর রহমান ওরফে ভিপি লিটনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

নভেম্বর ২৯, ২০২২ at ২১:৪১:০০(GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/দেপ/ইমস