ভাঙ্গুড়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি বিপ্লবের নেতৃত্বে পূজা মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক

শুরু হয়েছে বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পাঁচ দিনের এ আনন্দ আয়োজনের সকল প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয়েছে পূজা। ভক্তদের ভালোবাসায়, দেবী দুর্গা সেজে উঠেছেন আপন মহিমায়। শনিবার (১ অক্টোবর) থেকে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবে মেতেছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। মনের মাঝে আশা দুর্গা তাদের জন্য নিয়ে আসবেন অনাবিল শান্তি।

শারদীয় দুর্গাপূজা উৎযাপন উপলক্ষে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেলের নির্দেশে এবং ভাঙ্গুড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল হাসান বিপ্লবের নেতৃত্বে উপজেলা ছাত্রলীগ এর পক্ষ থেকে সর্বমোট ৩৪ জন ছাত্রনেতা পৌর সদরের ৬টি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে। মোটরসাইকেল নিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করে ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী কাজ করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন :
কালীগঞ্জে বিদ্যালয়ে ভুয়া দাতা সদস্য করায় প্রধান শিক্ষিকার নামে লিখিত অভিযোগ

পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ‘১৯৭১ সালে রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে। সেই রক্তধারায় সব ধর্মের মানুষের রক্ত মিশে আছে। বাংলাদেশের মানুষ শান্তি প্রিয়। মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি বাংলাদেশের সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। তারা বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে ঘিরে চক্রান্ত করে, বিরোধ ছড়াতে চায়। কোনো অপশক্তির ঠাঁই মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে হবে না। আমরা সবাই মিলে একযোগে ধর্মীয় উৎসবে সামিল হবো।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুল হাসান বিপ্লব দেশ দর্পণ এর পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেনের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় বলেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেলের নির্দেশে পৌরসভার ৬টি পূজামন্ডপে মোটরসাইকেল নিয়ে নিরাপত্তা বেস্টনি তৈরি করে কাজ করছে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছয়টি গ্রুপে ভাগ হয়ে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বিভিন্ন দুর্গাপূজার মণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছে উপজেলা ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

আরো পড়ুন :
শিবগঞ্জ কিচক ইউনিয়নে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত

ভাঙ্গুড়া উপজেলা আনসার ও ভিডিপি অফিসার মমতাজ মহল জানান, উপজেলার ১৯টি পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তায় ৭৬ জন পুরুষ, ৩৮জন মহিলাসহ সর্বমোট ১১৪ জন আনসার ও ভিডিপির সদস্য-সদস্যা দায়িত্ব পালন করছেন। অধিক গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপে-৮জন, গুরুত্বপূর্ণ পূজা মন্ডপে-৬জন এবং সাধারণ পূজা মণ্ডপে-৪জন করে ডিউটি পালন করছে।

মমতাজ মহল আরো বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর পাবনা জেলা কমান্ড্যান্ট মোঃ মুজিবুল হক স্যারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দপ্তরের সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের জন্য বলা হয়েছে।

উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মলয় কুমার দেব বলেন, উপজেলার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া বড়াল ও গুমানি নদী উপজেলার গ্রাম অঞ্চলকে দিয়েছে নৈস্বর্গিক রুপ। জেলার যেকোনো উপজেলার চেয়ে এই উপজেলায় মানুষের মধ্যে হানাহানি সহিংসতা উল্লেখযোগ্যভাবে অনেক কম। এ কারণে ভাঙ্গুড়া উপজেলার মানুষ বসবাসের ক্ষেত্রে জেলার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ উপজেলা বলে জেলার সর্বমহলে স্বীকৃত। তাই বরাবরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান দেশ দর্পণ কে জানান, ‘এ বছর ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ১৯টি পূজা মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণভাবে ভাঙ্গুড়ায় পূজা উৎসব পালনে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

অক্টম্বর ০১,২০২২ at ২১:১২:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক /সওত/শই