শার্শায় নির্যাতন ও মিথ্যা-হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

শুক্রবার বিকালে শার্শার বাগআঁচড়া সাতমাইল বাজারে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ কেরছেন রিমা খাতুন। ছবি: দেশ দর্পণ

শার্শার বাগআঁচড়ায় নির্মম ভাবে অমানুষিক নির্যাতন ও মিথ্যা হয়রানি মূলক মাদক মামলা দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূ। শুক্রবার বিকালে উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল বাজারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে রিমা খাতুন বলেন, বেনাপোল ক্যাম্পের বিজিবি গত ১৪ সেপ্টেম্বর বুধবার গভীর রাত থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত আমাদের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুরসহ পরিবারের সদস্যদের উপর শারীরিক নির্যাতন চালালেও কোন মাদকদ্রব্য বা অবৈধ পণ্য উদ্ধার করতে পারেনি। অথচ আমার স্বামী সোহাগ মিয়া (বড় বাবু) কে এলাকাবাসীর সামনে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়।

এবং ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নাটকীয় ভাবে বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে ঘোষণা দেয় আমার স্বামীকে ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আটক করেছে এবং ৩ জনকে আসামি করে বেনাপোল পোর্ট থানায় মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলা করেছে। এ ঘটনায় রিমা খাতুনের দেবরের স্ত্রী কুলসুমকে মারাত্বক ভাবে মারধর করায় জখম হয়ে বর্তমানে সে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বিজিবির ব্যাপক অভিযানকালে কোন মাদকদ্রব্য বা অবৈধ পণ্য আটক করতে না পারলেও তারা কিভাবে এতগুলো মাদক দিয়ে মামলা দিলো সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান সোহাগ মিয়া (বড় বাবুর) স্ত্রী রিমা খাতুন।

এসময় রিমা খাতুন আরও বলেন, বিজিবির অভিযান কালে স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। সেখান হতে এক টুকরোও অবৈধ পণ্য উদ্ধার করতে পারেনি। আমার পরিবারের কেহ কখনো কোন অবৈধ কারবারের সাথে সম্পৃক্ত নয়। অথচ আমরা যে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক মামলার শিকার হয়েছি তার সঠিক বিচার দাবী করছি।

উলে­খ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেনাপোল সীমান্তের কাগজপুকুর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকার থেকে ৫ হাজার পিস ইয়াবা, ৪ কেজি গাঁজা ও ১শ’ পিস ফেনসিডিলসহ সোহাগ মিয়া ওরফে বড় বাবুকে আটক দেখায় বিজিবি।

শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে উক্ত ঘটনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে সংবাদ সম্মেলন করেন সোহাগ মিয়ার স্ত্রী ও তার স্বজনরা।