নওগাঁর মহাদেবপুরে মাটিবাহী ট্রাক্টরকে সাইড দিতে গিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার নিচে খাদের নিচে পানিতে ডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার বেলা ১১ টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের ভীমপুর এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে নিহতের বাবা আব্দুল খালেক ছেলে ও ছেলের বউ এর মরদেহ দেখতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। সন্তানের মরদেহ দেখার পর বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি।
নিহতরা হলেন- জেলার মান্দা উপজেলার কুলিহার গ্রামের আব্দুল খালেক এর ছেলে শিমুল হোসেন (৩৩) এবং তার স্ত্রী জিনিয়া খাতুন (২৫)। তারা রাজশাহী থেকে ব্যবসা করতেন। সকালে রাজশাহী থেকে মাইক্রোবাস যোগে নওগাঁর দিকে আসছিলেন জিনিয়া খাতুন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত কয়েক মাস থেকে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মহাদেবপুর উপজেলার ভীমপুর মৌজায় ‘একটি আধুনিক সাইলো’ নির্মাণে ১৫ একর জমিতে প্রায় শতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে মাটির ভরাটের কাজ করা হচ্ছে। আজও মাটি ভরাটে কাজ করা হচ্ছিল। বেলা ১২ টার দিকে ঘটনাস্থলে মাটি বহনের ট্রাক্টরকে পাশ কাটতে গিয়ে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার নিচে লেকের পানিতে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে মাটি বহন বন্ধ রয়েছে।
নিহতের চাচাতো ভাই আসাদুল ইসলাম বলেন, তারা রাজশাহীতে ব্যবসা করতেন। সকালে তারা কি কাজে রাজশাহী থেকে নওগাঁর দিকে আসছিল তা জানা নেই। ভাবী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শুনি মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালে এসে দেখি একটি ঘরে রাখা হয়েছে।
মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ দুই জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। দূর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটি উদ্ধারের কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আধুনিক সাইলো নির্মাণে মাটি বহনের ট্রাক্টরে কারণে গত ২৪ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওগাঁ সদর উপজেলার বাবলাতলা মোড়ে ট্রাকের সাথে সিএনজি সংঘর্ষে চার শিক্ষকসহ ৫ জন মারা যান।
অগাস্ট ১৩,২০২২ at ১৭:৩৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সোরা/রারি