জেলা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার উপর সন্ত্রাসীদের হামলা, গুরুতর আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি

জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাসেল এর উপর দেশীয় অস্ত্র রড, লাঠি দিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা। গুরুতর আহত অবস্থায় জয়পুরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি। গতকাল শনিবার (৬ ই আগষ্ট) দিবাগত রাত ১০.৫০ মিনিটের সময় জয়পুরহাট শহরের আদর্শ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের মরহুম ছামছদ্দিন মন্ডলের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাসেল। জয়পুরহাট শহরের আদর্শ পাড়া এলাকায় একটি ছাত্রাবাসে ভাড়া থাকেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে হেলমেট পরিহিত অজ্ঞাত এক ব্যাক্তি তার ছাত্রাবাসের ভিতর প্রবেশ করে এবং তাকে ডেকে ছাত্রাবাসের বাহিরে বের করে। রাসেল বাহিরে আসলে ৫-৭ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ তাকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতারি মারধর করে গুরুতরভাবে আহত করে এবং অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ছাত্রাবাসের অন্যান্ন ছাত্ররা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল এর উপর এই সন্ত্রাসী হামলা কে কেন্দ্র করে গতকাল রাত হতে এখন পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাজনৈতিক মহল ও সুশীল সমাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে পোস্টের ঝড় লক্ষ্য করা গেছে।

এ ব্যপারে রাশেদুল ইসলাম রাসেল বলেন, আমি গতকাল রাতে জয়পুরহাট ১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু এমপি মহোদয়ের বাসা থেকে বের হয়ে আমার ছাত্রাবাসে আসি এবং আমার রুমের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করবো এমন সময় পিছন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি জিজ্ঞেস করে এখানে রাসেল কে? আমি বলি আমি তারপর সেই অজ্ঞাত হেলমেট পরিহিত ব্যক্তি আমাকে বলেন তোমার এক সিনিয়র ভাই তোমাকে বাহিরে ডাকতেছে একটু জরুরি কথা বলবে। আমি তার সাথে ছাত্রাবাসের বাহিরে যাই। মেইন গেট হতে একটু সামনে যেতেই ৫-৭ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি আমাকে কোন কথা বলার সময় না দিয়েই রড় ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আমাকে মারতে থাকে। আমি ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাই, পরে জ্ঞান ফিরলে দেখি আমি হাসপাতালের বিছানায়।

কে বা কাহারা মেরেছে সেই ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, আমি জোট সরকারের শাসন আমল থেকে এখন পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় সফলভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি পারি দিয়ে বর্তমান জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেছি। এই দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন পোগ্রামে বক্তব্য কালে আমার থেকে মাইক্রোফোন কেরে নেওয়া হয়েছে এবং আমাকে এখানে ওখানে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি প্রদান করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:
মরহুম আল-আমিন তালুকদার ছিল কাজিপুর ছাত্রলীগের আস্থাভাজন কান্ডারী- এমপি জয়
ফুলবাড়ীতে কোরিয়ান মেডিকেল টিম কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা কার্যক্রম উদ্বোধন।

কিন্তুু গতকাল রাতে কে বা কাহারা আমাকে মেরেছে তা আমি চিন্হিত করতে পারি নি, কারন সন্ত্রাসীরা কেউ মাথায় হেলমেট আবার কেউ কাপড় পরিধার করে ছিলো তাছাড়া ওই সময় শহরে লোডশেডিং ছিলো যার কারনে অন্ধকারে সন্ত্রাসীদের চিনতে পারিনি। তবে আইনের প্রতি আমার যথেষ্ট আস্থা ও বিশ্বাস আছে আশা করি দ্রুত সন্ত্রাসীদের প্রশাসন খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবেন। সেই সাথে তিনি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট তার উপর এই সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।

এ ব্যাপারে জয়পুরহাট থানার ওসি একে. এম আলমগীর জাহান বলেন, খবর পেয়ে রাতেই ওই ছাত্রাবাস এলাকায় ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদশর্ন করেছি । এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ বা মামলা আসেনি, লিখিত অভিযোগ পেলেই মামলা নেওয়া হবে।

আগস্ট ০৭,২০২২ at ১৮:২০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাই/এসএম