জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সেবায় আবারো দেশের প্রথম স্থানে

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স স্বাস্থ্য সেবায় সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে প্রথমবার যৌথভাবে হলেও এবার এককভাবে আবারো দেশের মধ্যে প্রথম তালিকায় স্থান পেয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প.প. কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার পূর্বে মহীপুরে অবস্থিত ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটিতে বিগত দিনে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল সংকট ছিলো, জরুরি চিকিৎসা সেবার সরঞ্জামদি গুলো ছিলো অকেজো। জরাজীর্ণ ভবনে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিতো। লোকবল ও সরঞ্জামাদির অভাবে চিকিৎসা সেবায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হওয়ায় নানা মহলে হাসপাতালটির সরকারি সেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২১ সালের আগষ্ট মাসে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেটিতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগাযোগ করেন ডাঃ সোলাইমান হোসেন মেহেদী। তিনি এসেই রোগীদের সু চিকিৎসা এবং হাসপাতালের জরাজীর্ণ ভবন সংস্কার করে আধুনিকতায় নিয়ে আসেন।

আরো পড়ুন :
কথা দিয়েও কথা রাখেন না বাপ্পা হাজী, করেন প্রতারণা!
পেছালো প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ

শুরু হয় ডায়াবেটিস ওয়ার্ড, প্যথোলজি এক্স-রে মেশিন সহ সব ধরনের অপারেশন ও চালু হয় গর্ভবতী মায়ের নরমাল ডেলিভারি কার্যক্রম। হাসপাতালটিতে সব ধরনের সেবা পাওয়ায় পাঁচবিবি উপজেলা ছাড়াও জয়পুরহাট জেলার পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা ও আশপাশ হতে প্রতিদিন বিভিন্ন রোগী আসতে থাকে ওই হাসপাতালে যার কারনে দিন দিন হাসপাতালটিতে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে।

ফলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালটির চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরীপে ২০২১ এর ডিসেম্বর ও ২০২২ এর জানুয়ারী মাসের তথ্য অনুযায়ী দেশের ৪৮২ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে যৌথভাবে স্বাস্থ্য সেবায় প্রথম তালিকায় স্থান করে নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় গত ফেব্রুয়ারী/২২ মাসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়ন ও সার্বিক বিষয় জরীপে আবারো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর পেয়ে এককভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে হাসপাতালটি।

এ বিষয়ে হাসপাতালের প.প. কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন মেহেদী সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, আমি এই হাসপাতালে যোগদানের পর জরাজীর্ণ ভবনগুলো সংস্কার করার ব্যবস্থা করেছি এবং সরকারি সকল সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করেছি যার কারনে হয়তো আজ এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও আমার নিজস্ব তহবিল হতে হাসপাতালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করনের কাজ চলছে।

মার্চ ১৭.২০২১ at ১৯:৩৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/শাইশা/রারি