পাবনার বেড়ায় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন, অনেক পাচ্ছেন না পণ্য

পাবনার বেড়ায় স্বল্পমূল্যে খোলাবাজারে বিক্রি হওয়া (ওএমএস) চাল আটা কিনতে ভিড় করছেন নিন্ম ও নিন্মমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। ডিলারা জানিয়েছেন বিগত দিনের চেয়ে এবারে চাল ও আটার মান ভাল হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে।

অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন তারা দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেও তারা চাল আটা কিনতে পারছেন না।বরাদ্দের চেয়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় ডিলাররা বরাদ্দ বাড়াতে খাদ্য অধিদপ্তরের সাহায্য চেয়েছেন।

বেড়া পৌরএলাকার চারজন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিদিন একটন চাল আটা বিক্রি হচ্ছে। এখানে প্রতিকেজি চাল ৩০ এবং আটা ১৮টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। মঙ্গলবার (১ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সামাজিক দুরত্ব উপেক্ষা করে সীমিত আয়ের মানুষেরা দীর্ঘসারি দিয়ে চাল আটা কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দোকানের সামনে।

পৌর এলাকার মৈত্রবাঁধা মহল্লার রমজান বলেন,বাজারে নিন্মমানের চাল ৪৫ ও আটা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সে কারণে তারা ওএমএসের ডিনারের দোকানে ভিড় করছেন। এবারের চাল আটার মান ভাল হওয়ায় এ সকল পণ্যের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে।

আরেক ক্রেতা বেড়া শেখ পাড়া মহল্লার আসমা খাতুন বলেন,তিনি দুই ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন চাল কিনতে।বিড়ম্বনা নিয়ে দাড়িয়ে থেকে অনেক কস্ট করে তিনি চাল ক্রয় করেছেন।

মোহনগঞ্জ মহল্লার বৃদ্ধা আয়েশা খাতুন বলেন, বাবারে সকাল ৯টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি এখনো চাল আটা পাইনি।

সোমবার চাল আটা না পেয়ে বাড়িতে ফিরে যেতে হয় আরেক ক্রেতা খাদিজা খাতুনকে।তিনি ও এমএস চাল কিনতে ডিনারের দোকানে এলে তাকে আগামী কাল আসতে বলা হয়েছে।

বেড়া পৌর কাঁচা বাজার এলাকার ওএমএসডিলার সাইফুল ইসলাম দুলাল মোল্লা বলেন, আমাদের চাহিদা বেশি বরাদ্দ কম।

আরো পড়ুন :
তালায় প্রতিহিংসার জেরে নির্মাণাধীন বসত বাড়িতে পেট্রল ঢেলে অগ্নিসংযোগ!
দুমকিতে গরু চুরির দায়ে আটক- ১

প্রতিদিন পাঁচশো কেজি আটা ও পাঁচশো কেজি চাল দু’শ জনের মধ্যে বিক্রি করা হচ্ছে। এগুলোর মান খুব ভাল হওয়ায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত মানুষ ভিড় করছেন।বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তা শেষ হয়ে যাচ্ছে। বরাদ্দ কম থাকায় অনেককেই ফিরে যাচ্ছেন।

যারা ফিরে যাচ্ছেন তাদেরকে এন্টি করে রেখে পরেরদিন বিক্রির শুরুতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে।চাপ সামলাতে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার বলে তিনি জানান।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাউসারুল আলম বলেন,বেড়া পৌর এলাকার চারজন ডিলারের মাধ্যমে ( শুক্রবার ব্যতীত) প্রতিদিন চারটন করে চাল আটা বিক্রি করা হচ্ছে। জনপ্রতি পাঁচ কেজি চাল ও পাঁচ কেজি আটা নির্ধারিত মূল্য বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি নিজে উপস্থিত থেকে এ গুলো মনিটর করছেন। ডিলার দের কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে সুষ্ঠু ভাবে বিধি অনুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এর আগে কার্যক্রমে প্রতিদিন দেড় টন চাল আটা বরাদ্দ থাকলেও এবার একটন করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সে কারণে ইকটু সমস্যা হচ্ছে।এ ছাড়া এবার চাল আটার মান ভাল হওয়ায় নিন্ম আয়ের মানুষ ছাড়াও মধ্যবিত্তরাও চাউল আটা নিচ্ছে।ডিলারদেরকে স্বাস্থ্য বিধি নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারী ০১.২০২১ at ১৪:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/হারহা/রারি