পাঁচবিবিতে ধান ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা

জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে চলতি আমন মৌসুমে সরকার নির্ধারিত ধানের মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারী খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহ নেই স্থানীয় কৃষকদের। ফলে চলতি আমন মৌসুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চলতি বছরের গত ২৪ নভেম্বর ৩ টন ধান ক্রয়ের মাধ্যমে ক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলেও এরপরে আর ১মণ ধানও সংগ্রহ করতে পারেননি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তারা। তবে সংশ্লিষ্ট গুদাম কর্মর্কতারা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নির্বাচিত কৃষকদের মাঝে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, লিফলেট বিতরণ , মাইকিং ও মোবাইলে এসএমএস করে উৎসাহিত করতে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:
শীতে শিশুকে যে ৭ খাবার খেতে দেবেন
ফুলবাড়ীতে বিলুপ্ত প্রজাতির শকুন উদ্ধার

জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে পাঁচবিবি খাদ্য গুদাম ২৭ টাকা কেজি দরে ১৩ মেঃটন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ২৭.১ মেঃটন চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই লক্ষ্যে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের জন্য অনলাইনে লটারীর মাধ্যমে উপজেলায় ৪শত ৪৪ জন কৃষক নির্বাচিত করেন। কিন্তুু সরকার নির্ধারিত দামে কৃষকরা ধান দিতে আগ্রহী হচ্ছে না কেউ। কারন হিসাবে তারা বলছেন, বর্তমানে কাঁচা ধানের বাজার মূল্য ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ২০ টাকা হলেও সেই ধান সরকারী গুদামের নিয়ম অনুযায়ী আদ্রতা মুক্ত ও ঝেড়ে দিতে হয়। সে হিসাবে প্রতি মণ ধানে খরচ হয় ১১শ টাকা থেকে ১২শ ৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও রয়েছে পরিবহণ ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২০হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে ৯৫ হাজার ৩৬০ মেঃটন ধান চালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়। এবার ধান ও চালের লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হয়েছে বলে তারা জানান।

অপরদিকে ধান ক্রয়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা থাকলেও চাল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা পূরুণ হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যগুদাম সংশ্লিষটরা । সে ক্ষেত্রে স্থানীয় মিলাররা তাদের সহযোগিতা করছেন বলেও তারা জানান। সাথী চাউল কল মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আইয়ুব আলী বলেন, কিছুটা লছ হলেও তারা চাল সরবরাহ করে ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরুনের চেষ্টা করছেন। তিনিসহ অন্যান্য মিলাররা সেই ক্ষতির জন্য সরকারের নিকট ভূর্তুকির জন্য দাবী জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে পাঁচবিবি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্র পূরণের জন্য আপ্রান চেষ্টা করছি। স্থানীয় কৃষকদের উদ্যোগি করতে ইতিমধ্যে লিফলেট বিতরণ, মাইকিংসহ ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদেরকে ধান দিতে উৎসাহ করা হচ্ছে। কিন্তুু কোন কৃষকের সাড়া না পাওয়ায় উদ্বোধনের দিনে কেনা ৩টন ধানেই সীমাব্ধ আছে ক্রয় কার্যক্রম। আগামী বছরের ২১শে ফেব্রুয়ারী ক্রয় কার্যক্রম শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি জানান।

ডিসেম্বর ২১.২০২১ at ১১:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মপর/মক

মোঃ মাসুদ পাভেজ রানা