থানা ও এলাকাবাসি জানায়, বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম (৪০) দীর্ঘদিন থেকে যৌন হয়রানি করে আসছে স্থানীয় মাধ্যমিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক শিক্ষার্থীকে। রোববার স্কুলের এসএসসি শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন অষ্টম শ্রেনির ওই শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠান শেষ করে বিকেলে সে বাড়ি ফিরছিল। পথে তার সাথে দেখা হয় বড়তারা গ্রামের শাহিনুর রহমানের।
শাহিনুর তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ভিন্ন পথ ঘুরে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরের সামনে নেমে দেয়। তখন বিকেল সাড়ে ৫টা। এ সময় রফিকুল এসে ওই শিক্ষার্থীকে কৌশলে স্কুলের পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। তখন ওই শিক্ষার্থী কান্না শুরু করলে স্থানীয় লোকজন শুনে এগিয়ে আসলে রফিকুল পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ক্ষেতলাল থানায় খবর দিলে ওসি নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীসহ তার পরিবারের সাথে কথা বলেন।
স্থানীয়রা জানায়, বাঘাপাড়া গ্রামের রফিকুল তিন সন্তানের জনক হলেও তার স্বভাব চরিত্র খারাপ। তার সহযোগী শাহিনুরও একই প্রকৃতির। তাদের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষার্থীদের যৌন নির্যাতনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।
ওসি নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তাকে ধর্ষণ নয় স্কুলের পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করা হয়েছে। রফিকুল দীর্ঘ প্রায় এক বছর থেকে ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করছে বলে তার পরিবারের অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীর বাবা আসামী রফিকুল ও শাহিনুরের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
নভেম্বর ০৮.২০২১ at ১৯:৪৫:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মোশাইশা/রারি