যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার শহরতলিতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ সময়ে অন্যান্য যাত্রীরা উপস্থিত থাকলেও কেউ কোনো প্রতিবাদ করেনি, নির্লিপ্ত দাঁড়িয়ে ছিলেন।
পুলিশ বলছে, তাদের কিছু করা উচিত ছিল। অন্তত পুলিশকে ফোন দেওয়া কিংবা বাধা দেওয়া উচিত ছিল।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির খবরে এমন তথ্য দিয়েছে। আপার ডারবি পুলিশ বিভাগের সুপার টিমথি বেরহারডট বলেন, বুধবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে ৬৯ টার্মিনাল থেকে পুলিশকে কল দেওয়া হয়েছে। তখন মারকেট-ফ্রাংকফোর্ড লাইনে পশ্চিম দিকে যাওয়া একটি ট্রেনে এক অপরিচিত ব্যক্তি ওই নারীর ওপর হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় পেনসিলভেনিয়া পরিবহন কর্তৃপক্ষের এক কর্মী পুলিশকে ফোন করেন। ট্রেনটি পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তার মনে হয়েছিল, সেখানে খারাপ কিছু ঘটছে। এতে পুলিশকে ফোন করতে তিনি উদ্বুদ্ধ হন।
এরপর পরবর্তী স্টেশনে গিয়ে অপেক্ষা করে পুলিশ। ট্রেন থামলে নারীকে উদ্ধার ও ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেন। আক্রান্ত নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
টিমথি বেরহারডট বলেন, ওই নারী ছিলেন অবিশ্বাস্য শক্তিশালী। তিনি পুলিশকে সবকিছু খুলে বলেছেন। হামলাকারীকে তিনি চেনেন না বলে জানিয়েছেন। তার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটছে, দ্রুতই তিনি সেরে উঠবেন।
একটি নজরদারি ক্যামেরায় পুরো ঘটনার ভিডিও ধারণ হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ওই নারীর ওপর হামলার সময় অন্য যাত্রীরাও সেখানে ছিলেন। টিমথি বেরহারডটের ভাষায়, সেখানে বহু লোক উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কেউ কোন প্রতিবাদ করেনি।
আক্ষেপ প্রকাশ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা কোন সমাজে বসবাস করছি? এমন কোনো ঘটনা কী চোখের সামনে ঘটতে দেওয়া উচিত? এটি সত্যিই কষ্টকর। আমরা সবাই পর নির্ভরশীল। একে অন্যর বিপদে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ আমাদের।
এ ঘটনায় ৩৫ বছর বয়সী ফিস্টন এনগোয় নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্যান্য লোকেরা এই বিভৎস ঘটনা দেখার পরেও চুপ ছিলেন। তাদের উচিত ছিল বাধা কিংবা ৯১১-তে ফোন দেওয়া।
অক্টোবর ১৭.২০২১ at ১৯:৫৬:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সনি/জআ