বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর টিএইচ ও ফাতেমা তুয জান্নাতু এর বিরুদ্ধে রোগীর স্বজনের অভিযোগ

পাবনার বেড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর মেডিকেল অফিসার (টিএইচও) ড. ফাতেমা তুয জান্নাত এর বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহি বরাবর অনিয়মের লিখিত অভিযোগ করেছেন এক মুমূর্ষ রোগীর স্বজন। বৃহস্পতিবার ১৪ অক্টোবর দুপুরে পৌর ৮নং ওয়ার্ড বাঙ্গাবাড়ীয়া মহল্লার হুমায়ুন কবির কাজল অসুস্থ অবস্থায় তার দাদী কে চিকিৎসার জন্য বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজল এর দাদীকে সাময়িক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবস্থার অবনতি লক্ষ্য করলে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিপার্ট করে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স করে বগুড়া নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলে তা ব্যর্থ হয়। পরে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে বেসরকারি এ্যাম্বুলেন্স করে মুমূর্ষ রোগীকে বগুড়া জিয়া মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়।অভিযোগ প্রসঙ্গে লিখেছেন জনাব যথা সম্মান প্রদর্শন পূর্বক সবিনয় নিবেদন এই যে আমি মো. হুমায়ুন কবির কাজল।

সাং বাঙ্গাবাড়ীয়া বেড়া পাবনা। এই মর্মে অভিযোগ করছি যে, আজ দুপুর আনুমানিক ২:০০ ঘটিকায় আমি সহ আমার চাচা আমার দাদী কে অসুস্থ অবস্থায় বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই, কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার দাদী কে দেখে সাময়িক কিছু পরীক্ষা করে। বগুড়া জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রিপার্ট করে।

আরো পড়ুন :
শৈলকুপায় দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
কাজিপুরে জলবায়ু পরিবর্তন, বাস্তুচ্যুতি এবং অভিবাসন বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত

এমত অবস্থায় আমি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স এ যোগাযোগ করলে,এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার প্রথমে আমাকে জানায়। তিনি কোন এক ভর্তি রোগী নিয়ে বাইরে যাবেন। কিন্তু পরমুহুর্তেই আমি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি উক্ত হাসপাতাল থেকে কোন কোন রোগী বাহিরে রিপার্ট হয় নাই। পুন:রায় ড্রাইভারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান উক্ত হাসপাতালে টি এইচ ও ম্যাডাম কে নিয়ে বাহিরে যাবেন।

এবং তার প্রায় বিশ মিনিট পর অর্থাৎ ২:৪৮ মিনিটে এর সময় ম্যাডামের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বাহিরে চলে যান।তারপর আমি আমার দাদীকে মুমূর্ষ অবস্থায় অন্য গাড়িতে বগুড়া পাঠাই। অতএব হুজুরের নিকট সবিনয় প্রার্থনা এই যে আমার দেওয়া লিখিত অভিযোগ সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে আমাকে বাধিত করবেন।

কাজল এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন এ্যাম্বুলেন্স জটিলতায় যদি আমার রোগীর কিছু হতো এর দায়ভার কে নিতো। আমার সাথে যে ঘটনা টা ঘটেছে আমি চাই না। এমন ঘটনা আর কারো সাথে ঘটুক তাই আমি এঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই। এবং কি ভাবে মুমূর্ষ রোগী রেখে ডাক্তার এর ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হয় এ্যাম্বুলেন্স চালক। এটি অমানবিক একটি ঘটনা।

এর শাস্তি হওয়া দরকার। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফাতেমা তুয জান্নাত বলেন আমি ব্যাক্তিগত কাজে যাইনি তো। অসুস্থ চেকাবের জন্য পাবনা যেতে চেয়েছি পরে রাস্তায় বের হয়ে আমি অফিশিয়াল কাজে আবার বাঁশমতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে ১০ শয্যা বিশিষ্ট নগর বাড়ী ঘাটে ওখানে দেখার ভিজিট এর ডেট ছিলো পরে ওখানে গেছি।ওখানে আমাদের সচিব স্যার ছিলেন ভোক্তা অধিদফতর এর। ওখানে এডিসি এসেছিলেন। ইউ এনও স্যার ছিলেন।অফিশিয়াল কাজেই গিয়েছি।

অক্টোবর ১৬.২০২১ at ২০:৪৩:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/এসএমডি/রারি