আলোর ঝলকানি, উদ্বোধনের অপেক্ষায় লেবুখালীর পায়রা সেতু

সেতুর সড়কবাতিতে নুতন করে সেজেছে লেবুখালীর পায়রা নদী। রাতের আধাঁরে পায়রার পাড়ে দাঁড়ালে মনে হবে স্বপ্নেরমত। যে কেউ মনে করবেন হয়তো অন্য কোন দেশে দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বাস্তবে পটুয়াখালীর দুমকিতে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফোরলেন’র পায়রা সেতুর সড়কবাতি দৃষ্টি কাড়ছে সবার। সন্ধ্যা নেমে আসলেই রূপবদলে যায় পায়রা নদীর। মনে হয় সেতুর সড়কবাতির আলোর ঝলকানি হাত নেড়ে তার সৌন্দর্য দেখতে ডাকছে সবাইকে।

ইতোমধ্যে সেতুর এ মায়াবতী সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনয়িত মানুষ ভিড় করছেন পায়রার পাড়ে। এদিকে দুইটি অ্যাবাটমেন্ট ও ৩১টি পিয়ারে নির্মিত সেতুটির প্রায় ৯৯ভাগকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বলা হচ্ছে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য নির্মাণ সম্পন্ন করে ২০২১সালের চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

আরো পড়ুন:
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ট্রেন চালু নিয়ে সংশয়
আশুলিয়ায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পায়রা সেতুর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. আবদুল হালিম জানান, বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৯কি.মিটারে পায়রা নদীর ওপর‘ লেবুখালী সেতু’ নির্মাণের মধ্যে দিয়ে উপক‚লের ৫০লক্ষ মানুষের স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে। ইতোমধ্যে ৩১টি পিয়ারে সেতুটির সড়কবাতি স্থাপনসহ সম্পূর্ণ সেতুটি এখন দৃশ্যমান হয়েছে। দ্রুততার সাথে বাকিকাজ সম্পন্ন করে সেপ্টেম্বর মাসেই যানচলাচলের জন্য খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।

ব্রিজটির প্রাক্কলিত নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৫শ’ কোটি টাকা। ব্রিজটি যানচলাচলে উম্মুক্ত হলে পটুয়াখালী-বরগুণা জেলাসহ উপক‚লীয় অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থায় সৃষ্টি হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন। খুলে যাবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সম্ভাবনার দ্বার।

সেপ্টেম্বর ০৭.২০২১ at ১৪:০০:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/মজউ/জআ