তালেবানের টার্গেটে যৌনকর্মীরা, নৃশংস শাস্তির পরিকল্পনা

গত জুনে আফগানিস্তানের মানবাধিকার সংস্থা জানায়, কেবল রাজধানী কাবুলে হাজারের বেশি যৌনকর্মী রয়েছে।

ট্যাবলয়েডটির খবর অনুযায়ী, কিছু পর্ন ভিডিওতে আফগান নারীদের পশ্চিমাদের সঙ্গে যৌন সংস্পর্শে দেখা যাওয়ায় আরও ক্ষেপে উঠেছে তালেবান জঙ্গিরা। ওই নারীদের খুবই প্রকাশ্যে হত্যা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এই খবরে আফগান জনগণের ভাষ্য, নারীরা জঙ্গি গোষ্ঠির মাধ্যমে গণধর্ষণের শিকার হচ্ছে তালেবানের উচিত আগে যদি হত্যা করা হয়, ফাঁসিতে বা পাথর নিক্ষেপ করে, তাহলে যদি আগে জঙ্গিদের হত্যা করা হয়।

অবশ্য আফগানিস্তানে যৌনবৃত্তি গুরুতর অপরাধ হলেও এর নির্দিষ্ট কোনো দণ্ডবিধি নেই। যদি যৌনকর্মের দায়ে কেউ ধরা পড়ে তাহলে কেবল তার কারাদণ্ডের বিধান আছে।

আরও পড়ুন: অবাক করা এক যন্ত্র আবিষ্কার করল ভারত

তবে নব্বইয়ের দশকে (১৯৯৬ থেকে ২০০১) তালেবানি শাসনে এই অপরাধে নারীদের জনসম্মুখে শাস্তি দেওয়া হতো।

তালেবানের বক্তব্য, নারীদের অধিকার রক্ষা করা হবে ‘ইসলামিক আইন’ মেনে। শিক্ষা বা কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে পারলেও ইসলামিক আইন মেনেই নারীদের ছাড় দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তালেবানের।

যদিও তালেবানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানে বিভিন্ন জায়গা থেকে মৌলিক অধিকার খর্বের অভিযোগ উঠেছে। কাবুল, হেরাতে তালেবানের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামতেও দেখা যায় নারীদের।

এদিকে তালেবানি সংস্কৃতি ধরে রেখে নারীরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন বলে জানান তালেবানি মুখপাত্র সুহেল শাহিন। এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুহেল শাহিন বলেন, হিজাব ছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে যাওয়া পশ্চিমা সংস্কৃতি। আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না। তাই তালেবান এর বিরোধিতা করে। পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও ‘সংস্কৃতি’ মেনে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপের ইঙ্গিতও দেন সুহেল।

সূত্র: দ্য স্টার অনলাইন, হিন্দুস্তান টাইমস।

সেপ্টেম্বর ০৬.২০২১ at ১২:০৮:০০ (GMT+06)
দেশদর্পণ/আক/সটি/জআ